হেতমগড়ের গুপ্তধন - শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতুড়ে সিরিজের তৃতীয় আখ্যান

অদ্ভুতুড়ে সিরিজ ১ - মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি - আলোচনার লিংক 

অদ্ভুতুড়ে সিরিজ ২ - গোঁসাইবাগানের ভূত - আলোচনার লিংক 

 

হেতমগড়ের গুপ্তধন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভুতুড়ে সিরিজের তিননম্বর উপন্যাস। ১৯৮১ সালে প্রথম প্রকাশের পর ২০০৮ সালের মধ্যে এর মুদ্রণ সংখ্যা উনিশ হাজার ছাড়িয়েছে! ভাবা যায়!

এ উপন্যাস একজন রগচটা, অন্তঃসারশূন্য মানুষের গ্রুমিংয়ের গল্প। গল্পে ভূত আছে, হাসি আছে, গুপ্তধন আবিষ্কারের উত্তেজনা আছে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি করে যা আছে তা হল মজার মোড়কে সাইকোথেরাপির সুলুকসন্ধান।

মাধব চৌধুরী, বয়েস তার বত্রিশ। হেতমগড়ের জমিদার বংশের উত্তরাধিকারী। বন্যায় ঘরবাড়ি গেছে ভেসে, ভগ্নীপতির বাড়িতে তিনি আশ্রিত। বিয়ে হয়েছিল বিজয়পুরের জমিদারের মেয়ের সঙ্গে। কিন্তু বিয়েতে শ্যালিকারা রসিকতা করে সুপুরিভরা নারকেল নাড়ু দিয়েছিল। রামবুদ্ধু মাধব চৌধুরী দাঁতের জোর দেখাতে নাড়ু চিবোলেন এবং সবকটি দাঁত ভেঙে ফেললেন। রাগ করে শ্বশুরবাড়ি একবস্ত্রে ত্যাগ করলেন, আর কোনওদিন সে-মুখো হননি। ভগ্নীপতির বাড়িতে থেকে ফুলগাছ দেখাশোনা করেন, পাখির খাঁচার তদারক করেন আর বাজার করেন। আর থেকে থেকে গোঁসা করে বুড়িপিসির বাড়ি চলে যান। জলজ্যান্ত একজন ‘অ্যাটেনশন সিকার’ যাকে বলে! ঘনঘন এই কাণ্ডটি ঘটান বলে ভগ্নীপতি একটা গরুর গাড়ির ব্যবস্থাও করে রেখেছেন পিসির বাড়ি যাওয়ার জন্য।

গল্পের শুরু হয় যেদিন মাধববাবুর বাঁধানো দাঁত, চটি, গামছা, চশমা একসাথে খোয়া যায়। আগুপিছু না ভেবেই তিনি ভাগ্নে পল্টনের পোষা বাঁদর ঘটোৎকচকে দোষী সাব্যস্ত করে ফেলেন এবং দু’চারটে তর্জন-গর্জন করে তল্পিতল্পা গুটিয়ে পিসির বাড়ি চলে যান। সেখানে গিয়ে আরেক কান্ড বাধান। লাতনপুর হাইস্কুল বনাম হেতমগড় বিদ্যাপীঠের ফুটবল ম্যাচে হেতমগড় তেমন সুবিধে করতে পারছিল না। রেগেমেগে মাঠে নেমে পড়লেন মুষড়ে পড়া খেলোয়াড়দের পেপ টক দিয়ে উজ্জীবিত করতে। কিন্তু হাতে ছিল তাঁর আদ্যিকালের গাদাবন্দুক। দেখামাত্র পুলিশ এসে ধরে নিয়ে পুরল তাঁকে হাজতে। মুখে যতই তড়পানি দেখান, আদতে মাধববাবু ভারী ভীতু মানুষ। পুলিশকে তিনি বড় ভয় পান।

জেলে দেখা হয়ে গেল তাঁর বাবার আমলের পুরনো মালি বনমালীর সঙ্গে। বনমালী ক্লেপটোম্যানিয়াক, মানে চুরি করাই তার ব্যারাম। চুরি না করতে পারলে তার পেট ফাঁপে, আইঢাই হয়, রাতে ঘুম হয় না। এখন জমিদারি নেই। তাই মালির চাকরিও নেই। বনমালী এখন চোর ছ্যাঁচোড়দের গুরুমশাই। চুরিচামারির সঙ্গে সে তার স্যাঙাতদের টিকটিকি বিদ্যেও শেখায়। টিকটিকি বিদ্যে হল যেকোনও খাড়া দেওয়াল বেয়ে সাক্ষাৎ টিকটিকির মতো সটান ওপরে উঠে যাওয়া!এমন সব মার্কামারা চোরদের কি আর লোহার গরাদ আটকাতে পারে? বাঁদর ঘটোৎকচ বাঁদুরে খেলা দেখিয়ে পুলিশদের ব্যস্ত রেখেছে, সেই ফাঁকে মাধববাবুরা জেল থেকে বেরিয়ে পড়লেন। বুঝতে পেরে পুলিশ ঘন্টি বাজিয়ে পিছু পিছু ধাওয়া করল। মাধববাবুরা আশ্রয় নিলেন দেড়শো বছরের পুরনো পাতুগড়ের আমবাগানে।

এইবার আবির্ভাব হল উপন্যাসের অন্যতম মূল চরিত্রের, নন্দকিশোর মুনসি। সে একজন ভূত। বিঘতখানেক লম্বা তুলোর আঁশের মতো তার শরীর। রগচটা মাধববাবু তালেগোলে নন্দকিশোরের ওপরেও একসময় বিষম রেগে উঠলেন, মারতে গেলেন থাপ্পড়। আর ব্যালেন্স হারিয়ে সোজা গাছের মগডাল থেকে পড়লেন নীচে দাঁড়িয়ে থাকা খোদ দারোগা নবতারণের ঘাড়েই। নবতারণ দাপুটে দারোগা হলেও ভূতে তার ভারী ভয়। কে পড়ল, কী পড়ল বুঝে উঠতে না উঠতেই নন্দকিশোরের ভূতকে দেখলেন আর ফেরারী আসামীর চিন্তা ঝেড়ে ফেলে পিঠটান দিলেন।

ওদিকে মাধববাবু ছুটে পালাতে পালাতে নদীর ধারে পৌঁছেছেন। নন্দকিশোর কিন্তু পিছু ছাড়েনি। কথায় আছে, ‘শক্তের ভক্ত, নরমের যম’। নন্দকিশোর ভারী কড়া ভূত, রামনামেও তার ভয় নেই। ভূত দেখে ভয়ের চোটে মাধববাবু রামনাম জপতে যাবেন, এদিকে ভুলে মেরে দিয়েছেন খোদ ‘রাম’ নামটাই! ‘আরে ঐ যে দশরথের বড় ছেলেটা... আরে ঐ যে বনবাসে গিয়েছিল... সোনার হরিণের পিছু নিয়েছিল যে ছেলেটা... আহা কী যেন নাম...’ শীর্ষেন্দুর এই সিরিজের নাম ‘অদ্ভুতুড়ে’ ভারী যথাযথ। তাঁর ভূতেরা বড় অদ্ভুত, প্রচলিত নিয়মকানুনের ধার মোটেই কেউ ধারে না। নন্দকিশোরও কোনও যে সে এলেবেলে ভূত নয়। সে দিব্যি বলে বসল, ‘রামের কথা ভাবছ তো! খিক খিক! তা ভালো, খুব কষে রাম-নাম করে যাও। কিন্তু তাতে লাভ নেই।’ রামনামে ভূত ডরায় না, ভূতের গল্পের ইতিহাসে বোধহয় এই প্রথমবার দেখা গেল। আগের উপন্যাস ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’-এ অবশ্য রাম কবিরাজের ‘রাম’ নাম উচ্চারণে ভূতেদের সমস্যা থাকলেও সে গল্পে স্বয়ং ভূতেরই নাম ছিল নিধিরাম! সে উপন্যাস আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকীতে বেরনোর পর পরেই নাকি এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তাই ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ যখন বইয়ের আকারে ছাপা হল, শুরুতেই ‘কিছু ভূতুড়ে কথা’ অংশে লেখক শীর্ষেন্দু বলছেন, ‘ভূতের মনস্তত্ত্ব বোঝা ভার!... ভূতেদের তো ভুল হয়! পুরো ব্যাপারটাই ভারী গণ্ডগোলের।’ ঠিক তার পরের উপন্যাসই হল এই ‘হেতমগড়ের গুপ্তধন’। এখানে তো ভূতের রকমসকম নিয়ে রীতিমতো এক্সপেরিমেন্ট করে ফেলেছেন লেখক। নন্দকিশোরের বকলমে তিনি নিজেই বলছেন, ‘ভূতের একরত্তি ক্ষমতা নেই, তাই তাকে ভয় খাওয়ারও কিছু নেই। আবার ভূতকে ভয় খাওয়ানোও ভারী শক্ত। ভূতকে মারা যায় না, তা তো নিজেই দেখলে। ভূতের সাপের ভয় নেই, চোরডাকাত বা সাপের ভয় নেই, বন্দুক বা তলোয়ারেও ভয় নেই, এমনকী সবচেয়ে বড় কথা কী জানো? ভূতের আবার ভূতেরও ভয় নেই! আর রামের মতো ভালমানুষকে আমরা ভয় পেতে যাবোই বা কেন?’ উপন্যাসে যদি আক্ষরিক অর্থে হিরো কেউ থেকে থাকে, তবে সে ভূত নন্দকিশোর মুনসি-ই!

‘‘শক্ত পাল্লায় পড়েছেন বুঝতে পেরে মাধব কাঁদো-কাঁদো হয়ে বললেন, আপনাকে চড় মারাটা আমার ভারী অন্যায় হয়েছিল।” এই প্রথমবার মাধববাবু অন্যায় স্বীকার করলেন। জমিদারি গেছে, তবু জমিদারি রক্তের ফাঁপা গর্বে অন্ধ মাধববাবু কখনও কাউকে ‘স্যরি’ বলেননি। নন্দকিশোর তাঁকে ‘স্যরি’ বলতে শিখিয়েছে। সে ভূত, চাইলেই যে কারওর শরীরের ভেতর ঢুকে পড়তে পারে। মাধববাবুর শরীরের ভেতর ঢুকে সব দেখেশুনে নিদান দিল, ‘তুমি তো মহা পাজি লোক হে! একেই তো ভয়ঙ্কর রাগী, তার ওপর বাতিকগ্রস্ত, বুদ্ধিটাও বেশ ঘোলাটে, ধৈর্য সহ্য ক্ষমা ইত্যাদি গুণ বলে কিছুই নেই তোমার। উন্নতি করার ইচ্ছেও তো দেখলাম না।’ ঠিক যেন একজন মনের ডাক্তার পেশেন্টের মনের ভিতর ঢুকে সাইকো অ্যানালিসিস করছেন। মাধববাবুর ঘোরতর অ্যাঙ্গার ইস্যু আছে এবং এ রোগ বংশগত। তাঁর বাবা রেগে গেলেই নারকোল গাছে উঠে বসে থাকতেন। তাঁর ঠাকুরদা রাগ হলেই নিজের মাথার চুল ছিঁড়তেন। সে যুগে এই সমস্যাগুলো নিয়ে কেউ বেশি মাথা ঘামাতো না, ‘মানুষটা বড় রাগী’ এই ভেবেই সবটা স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া হত। কিন্তু এখন আমরা জানি এই অত্যধিক রাগ আসলে মনের রোগ। রাগের মাথায় এই মানুষগুলোর স্বাভাবিক বোধবুদ্ধি কাজ করে না। দীর্ঘদিন চিকিৎসার অভাবে এ রোগ স্থায়ী পার্সোন্যালিটি ডিসঅর্ডার হয়ে থেকে যায়। যার ফল হয় ভয়াবহ। রোগী নিজের ক্ষতি তো করেই, কাছের মানুষজনদের সঙ্গে সম্পর্কগুলিও বিষিয়ে ওঠে। মাধববাবুর বিবাহিত জীবন সুখের হয়নি এই অযথা রাগের কারণেই। নিজে তিনি কাপুরুষ, ফোঁপরা মানুষ।জমিদারির হৃতগৌরব পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ। ভগ্নীপতির আশ্রিত। আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরা স্বাভাবিক। তাঁর ব্যর্থতা বা খামতিগুলো ঢেকে রাখার চেষ্টাতেই তিনি হয়ে ওঠেন ‘মুখেন মারিতং জগৎ’ গোছের মানুষ। অন্যদের ভ্যালিডেশন পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টাও তাঁর আরেকটি সমস্যা। নাহলে নাড়ুর ভেতর সুপুরি আছে জেনেও তিনি সবকটা চিবিয়ে দাঁতের জোর দেখাতে যেতেন না। নন্দকিশোর তাঁর সাহসের থলিটাকে ফুলিয়ে দিল। আর বলল, ‘তোমার শুকনো মগজটাকে জল ছিটিয়ে একটু সরস করে তুলতে হবে। রাগের ঝালগুঁড়োগুলো ঝেঁটিয়ে বিদেয় করতে হবে। মায়া দয়া স্নেহ মমতার কয়েকটা চারাগাছ পুঁতে দিতে হবে। তারপর যদি একটু মানুষের মতো মানুষ হও।’ কৃতজ্ঞতাবোধ জানানোর বালাই মাধববাবুর কোনওকালে ছিল না। নন্দকিশোর তাঁর দাঁতগুলো মেরামত করেছে। তবু মাধববাবুর হম্বিতম্বি যায় না দেখে সে একরকম খেঁকিয়েই ওঠে, ‘তোমার মতো অকৃতজ্ঞ লোক দুটো দেখিনি!’ ‘স্যরি’ বলা শেখার পর এবার মাধববাবু শিখলেন ‘থ্যাংকিউ’ বলা। আর ‘মানুষের মতো মানুষ’ হয়ে ওঠার সর্বশেষ পাঠটি ছিল, ‘সবই যদি আমি করে দেব তাহলে ভগবান তোমাকে হাত-পা মগজ দিয়েছে কেন শুনি!’ এক নতুন মাধব চৌধুরীর জন্ম হল। সে আত্মবিশ্বাসী, নির্ভীক, সৎ মানুষ। বীরদর্পে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে বউকে নিয়ে এল। জঙ্গলে খুঁজে পাওয়া পূর্বপুরুষের গুপ্তধন কাজে লাগিয়ে নতুন করে হেতমগড় গড়ে তুলল। স্কুল খুলল। পুকুর-দীঘি-সড়ক বানালো। সবমিলিয়ে একটা মিষ্টি হ্যাপি এন্ডিং।

গুডরিডস্ রিভিউ-তে ‘হেতমগড়ের গুপ্তধন’ সংক্রান্ত রিভিউ অজস্র। এপার বাংলা, ওপার বাংলা, মায় বিদেশে প্রবাসী বাঙালি পর্যন্ত এ উপন্যাস পড়ে মুগ্ধ। তবে রিভিউগুলোতে একটা জিনিস বারবার চোখে পড়ে, কমবেশি সবাই চাইছেন তাঁদের জীবনেও একজন নন্দকিশোর মুনসি আসুক। যে দায়িত্ব নিয়ে জীবনের সব ভুলভাল গাঁথনিগুলোকে ভেঙে নতুন করে গড়ে দেবে। মিষ্টি বাঁদর ঘটোৎকচেরও চাহিদা কম নেই। একজন তো লিখেই দিয়েছেন একটি ঘটোৎকচ ও একজন নন্দকিশোর পেলে জীবনে আর কিচ্ছুটি চাইবেন না। ছোট ছোট দুঃখের ঝাঁপি, না পাওয়া, ব্যর্থতা নিয়েই তো জীবন! মাঝে মাঝে যখন কোনও অলস দুপুরে মন টুক করে ডাউন দ্য মেমোরি লেনে ঘুরতে চলে যায়, তখন কেউ কেউ নিশ্চয়ই ভাবে, রাগঝালটা যদি একটু কম করতাম, তবে হয়তো অমনটা হত না। কিংবা সেদিন যদি ‘স্যরি’টা বলে দিতাম, আজ হয়তো... অমুকের জন্যই যে আজ এতকিছু, ইশ্ বেচারাকে একটা থ্যাংকস পর্যন্ত বলা হয়নি! অন্যায় স্বীকার করে নেওয়া আর কৃতজ্ঞতাবোধ জানানো— এই দুইয়ের যে বিকল্প নেই। সঠিক সময়ে এই মানুষগুলোর জীবনে একজন নন্দকিশোর মুনসি এলে হয়তো অনেককিছুই অন্যরকম হতে পারত! বুকের খাঁচায় সাহসের চুপসানো বেলুনটাকে ফুলিয়ে দিতে মাঝেমধ্যে অমন একজন ক্যাটালিস্টের দরকার পড়ে বৈকি।

এখনও পর্যন্ত ‘হেতমগড়ের গুপ্তধন’ নিয়ে সানডে সাসপেন্সে দুর্ধর্ষ একটি অডিওস্টোরি এলেও কোনও চলচ্চিত্র বানানো হয়নি। অথচ আড়াইঘন্টার ভরপুর এন্টারটেইনমেন্টের যথেষ্ট মালমশলা আছে এ উপন্যাসে। ঘটোৎকচ ফুটবল মাঠে হেতমগড়কে জিতিয়ে দিচ্ছে, ঘটোৎকচের ল্যাজ ধরে জঙ্গলে চলতে গিয়ে ভুল করে মাধববাবু পাকড়াও করছেন চিতাবাঘের লেজ, ঘন জঙ্গলের অপূর্ব বুনো সৌন্দর্য— উন্নতমানের ভিএফএক্সে রূপোলী পর্দায় দৃশ্যগুলি বড় উপভোগ্য হবে। কাহিনিতে হাসির খোরাকের অভাব নেই। দারোগা নবতারণ পারিবারিক সম্পর্কের ঘোরপ্যাঁচগুলো বোঝেন না। স্ত্রীর বোনকে বলেন ‘ননদ’, মাধব চৌধুরী কার ‘শালা’ কার ‘জামাই’ বুঝতে গিয়ে পড়েছিলেন ভারী আতান্তরে। হয়তো এইজন্যই এখন সরকারী চাকরির পরীক্ষাগুলোয় অমুক যদি তমুকের পিসির দেওরের ভাইপো হয় তবে তার বউয়ের খুড়োর মামাতো বোনের শ্বশুর কী হবে— এই গোছের ভজকট প্রশ্ন আসে। এই যে ক্ষণে ক্ষণে সোশ্যাল মিডিয়ায় রব ওঠে, বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান। বাংলা সাহিত্যেই কত কি মণিমুক্তো ছড়িয়ে আছে, সাহিত্য আর বিনোদন যদি হাত ধরাধরি করে একে অপরের পাশে দাঁড়ায়, তবে মন্দ কি!