‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ : শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতুড়ে সিরিজের দ্বিতীয় আখ্যান

অদ্ভুতুড়ে সিরিজের প্রথম আখ্যান - 'মনোজদের অভুত বাড়ি' আলোচনার লিংক

‘‘আড়াল থেকে, আবডাল থেকে, বাতাস থেকে, আকাশ থেকে কথাটা আসতেই লাগল ‘বুরুন, তুমি অঙ্কে তেরো!’ ‘বুরুন, তুমি অঙ্কে তেরো!’ ‘বুরুন, তুমি অঙ্কে তেরো!’

রাগে বুরুন দশখানা হয়ে গেল। এক লাফে ঝরনার জল থেকে উঠে বড়-বড় ঢিল তুলে চারদিকে ছোঁড়ে আর চেঁচায়, ‘ভাল হবে না বলে দিচ্ছি! সব ভেঙে ফেলব! সব নষ্ট করে দেব!’

পায়ের নীচে মাটি বলে উঠল, ‘বুরুন, তুমি অঙ্কে তেরো!’

পাহাড় বলে ওঠে, ‘বুরুন, তুমি অঙ্কে তেরো!’

তারপর সমস্বরে গাছপালা, পাখি, নদী, জল, চাঁদ, মেঘ সবাই নামতার সুরে বলতে থাকে, ‘বুরুন, তুমি অঙ্কে তেরো!’ বুরুন, তুমি অঙ্কে তেরো!’ বুরুন, তুমি... ’

রাগের চোটে বুরুন একটা গাছ উপড়ে নেয়! তারপর দু’হাতে ধরে এলোপাথাড়ি চারদিকের সবকিছু ভাঙতে থাকে। আকাশ ভাঙে, পাহাড় ভাঙে, মাটি ভাঙে... ভাঙতে...  ভাঙতে...  ভাঙতে... চারদিকের সব ফাঁকা হয়ে যায়। ... সব মিলিয়ে যায়।”

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের অদ্ভুতুড়ে সিরিজের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’। ১৯৭৯ সালে প্রথম প্রকাশ আনন্দমেলা পূজাবার্ষিকীর পাতায়। সিরিজের প্রথম উপন্যাস ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’ ছিল নিতান্তই ফিল-গুড হাসি-মজায় ভরা কাহিনি, সেখানে জটিল কিশোর মনস্তত্ত্বের কোনও আভাস ছিল না। কিন্তু ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ তুলনায় আলাদা। বুলিং এবং সংবেদনশীল শিশুমনের ওপর এর প্রভাবের এক ভয়ংকর দিকের প্রসঙ্গ এ উপন্যাসে উঠে এসেছে।

বুরুন স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় ইতিহাসে পেয়েছে আশি, বাংলায় পঁয়ষট্টি, ইংরেজিতে ষাট। কিন্তু অঙ্কে মোটে তেরো! প্রথমে হেডমাস্টারমশাই ধমকালেন, ‘যে ছেলে গণিত জানে না, সে বড় হয়ে কী হয় জানো? বেহিসেবী, অমিতব্যয়ী, আর আনপ্র্যাকটিকাল।.. যে গণিতের শিক্ষা ঠিকমতো করেনি, আমার মতে সে ভালো ছেলে নয়।’ এরপর বাবার পালা। তিনি সটান হুকুম জারি করলেন বুরুন রোজ পাঁচমাইল হেঁটে করালীস্যারের বাড়ি অঙ্ক শিখতে যাবে। বাড়ির কোনও কাজের লোক তাকে আর হেল্প করবে না। অতএব বুরুনকে নিজের জামাকাপড় নিজেকেই কাচতে হচ্ছে, নিজের থালাবাসন নিজেকেই মাজতে হচ্ছে, নিজের বিছানা নিজেকেই গোছাতে হচ্ছে। এ তবু মেনে নেওয়া যায়। পরের ভরসায় না থেকে নিজের কাজ নিজের হাতে করে নেওয়ার অভ্যেস ছোটবেলা থেকেই হওয়া ভাল। কিন্তু বাড়ির লোক যে তাকে করে দিল একঘরে। মা থেকে শুরু করে ছোট ভাইবোন কেউ আর তার সাথে কথা বলে না। শুধুমাত্র দাদু যা একটু কথাটথা বলেন, আগের মতো স্নেহ করেন। বিকেলে ঘন্টাদেড়েকের জন্য খেলাধূলোর ছাড় থাকলেও বন্ধুবান্ধবের সাথে বেশি মেলামেশা বারণ। এর ওপর আছে বুরুনকে আরও জব্দ করার জন্য কাটা ঘায়ে নুনের ছিটের ব্যবস্থা। বাড়ির ময়নাপাখিটাকে ইতিমধ্যেই কে যেন শিখিয়ে দিয়েছে একটা আস্ত বাক্য। বুরুনকে দেখলেই পাখি বলে উঠছে, ‘বুরুন অঙ্কে তেরো পেয়েছে। বুরুন অঙ্কে তেরো পেয়েছে।’ এরপরেও বুরুন মন খারাপ না করে থাকতে পারে?

এই গঞ্জমতো শহরের একপ্রান্তে আছে গোঁসাইবাগান। সে ছিল আগে গোঁসাইডাকাতের আস্তানা। এখন সে তল্লাটে গভীর ঘন জঙ্গল। সাপখোপের আড্ডা, বিচুটির ঝাড়। রাগ আর মনখারাপ দুইয়ের ইন্ধনেই ঘর ছেড়ে বুরুন গিয়ে হাজির হয় গোঁসাইবাগানে। এত বেশি রকমই তার মনখারাপ, সে আর পরোয়া করে না বিচুটির, এমনকি সাপের কামড়েও তার আর মরার ভয় নেই। নিধিরাম ভূত এসে ভয় দেখানোর হাজাররকম চেষ্টা করল, তবু বুরুন ভয় পেল না। গল্প যেহেতু মজার মোড়কে লেখা, তেমন কোনও সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটেনি। কিন্তু হতে তো পারত! অঙ্কে লাড্ডু পেলে বাড়ির লোক আইসক্রিম খাওয়াতে নিয়ে যাবে, সেইটি আশা করা বাড়াবাড়ি। তবে কথাটথা বন্ধ করে একঘরে করে দেওয়া— এ কেমনতর শাস্তি? খুদে বলে কি মানুষ নয়? গোঁসাইবাগানে যদি সত্যি সত্যিই বুরুনকে সাপে কামড়াত? যদি নিধিরাম ভূতের বদলে সেদিন বুরুন পড়ত কোনও খারাপ লোকের খপ্পরে? বুরুন তো একেবারে খারাপ স্টুডেন্ট না। অঙ্ককে সে ভালোবাসতে পারেনি, তাই অঙ্কও তাকে কাঁচকলাটি দেখিয়েছে। বাকি সব সাবজেক্টে বুরুন তো ভালো নম্বর পেয়েছে। বড়দের এই এক সমস্যা। ছোটদের বড় হেলাফেলা করে। তাদেরও মনখারাপ হতে পারে, ডিপ্রেশন আসতে পারে— একথা বড়রা বুঝতেই চায় না। বুরুনদের স্কুলেও কম বুলিং হয় না। ক্রিকেট মাঠে ফেল করা ছেলেদের একটা আলাদা টিম, আর পাশ করা ছেলেদের আলাদা টিম। যদিও গল্পে ফেল করা ছেলেপিলেরা বেশ স্পোর্টিংলি ব্যাপারটা নিয়েছে। পড়াশুনোর চেয়ে খেলাধুলোতেই তাদের মনোযোগ বেশি, তাদের টিম তাই দূর্দান্ত। কিন্তু বুরুনের মতো অতিরিক্ত সংবেদনশীল বাচ্চাকে যদি ঠেলেগুঁজে ফেল করা ছেলেদের টিমেই পাঠানো হত? নিজেকে নিয়ে সে সাংঘাতিক ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভুগত না? নেহাত বুরুন অঙ্ক বাদে বাকিসব বিষয়ে পাশ করেছে, তাই তাকে সে টিমে খেলতে হয়নি। কিন্তু এই চোখে আঙুল দিয়ে ভালো ছেলে-খারাপ ছেলের তফাত বুঝিয়ে দেওয়ার টেকনিকগুলো একরকম বুলি করাই বটে। মনোবিদ ডঃ অরিত্র চক্রবর্তীর মতে, এই অনবরত বুলিংয়ের শিকার হওয়া বাচ্চাগুলির মানসিক অবসাদ বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছয়, বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া, নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়া এমনকি আত্মহত্যার পথও তারা বেছে নেয়। যেকোনও বাচ্চার সবচেয়ে বড় মানসিক জোরের জায়গা তার বাড়ির মানুষজন। তাঁরাই যদি কথা বন্ধ করে দিয়ে ভাবেন বিরাট কিছু শাস্তি দেওয়া হল, তবে শাস্তি হয়তো আসলে তাঁদেরই প্রাপ্য। এই সাইলেন্ট ট্রিটমেন্ট আদতে একটি ভীষণই টক্সিক মনোভাব। ছোট বাচ্চাদের ওপর এইটি প্রয়োগ করলে আখেতে ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই হয় না।

উপন্যাসে ফেরা যাক। বুরুনের সঙ্গে নিধিরাম ভূতের একটি রফা হল। বুরুন নিধিরামকে দেখে একটুও ভয় পায়নি, তাতে নিধিরামের আঁতে বড় ঘা লেগেছে। ভূতমহলে তার ব্যাপক সম্মানহানিও হয়েছে। ভূতের কাজ ভয় দেখানো, মানুষের কাজ ভয় পাওয়া। এ নিয়মের অন্যথা ঘটলে যে অনর্থ। অতএব, নিধিরাম বুরুনের সব কাজ করে দেবে, বদলে বুরুনকে শুধু একটু ভয় পেতে হবে! বুরুন শুধু অঙ্কে তেরো পেয়েছে, তা বলে সে বোকারামটি তো আর নয়। সে নিধিরামকে দিয়ে দিব্যি বেগার খাটিয়ে নিতে লাগল। নিধিরাম তার হয়ে অঙ্ক কষে দেয়, বুরুন পায় বাহবা। নিধিরামের ভূতুড়ে ম্যাজিকে বুরুন ক্রিকেট ম্যাচে সিক্সারের পর সিক্সার হাঁকায়। স্বয়ং ব্র্যাডম্যানের রেকর্ড ভেঙে খানখান। মাত্র আট সেকেন্ডে দৌড়ে ফেলে একশো মিটার। হাইজাম্পে লাফায় ছ’ফুট। শহরের হিরো এখন অঙ্কে তেরো পাওয়া বুরুন।

রনে গোসিনি-র অ্যাসেটরিক্স কমিকসের একটি বিখ্যাত চরিত্র এটাসেটামিক্স (বাংলা অনুবাদে এটাসেটামিক্স, ইংরেজি অনুবাদে গেটাফিক্স), সে হল গ্রামের মান্যগণ্য পুরোহিত। গাছগাছড়া থেকে তৈরি করে জাদু-পানীয়, তা গলায় ঢাললেই শরীরে চলে আসে অতিমানবিক শক্তি। এই পানীয় খেয়েই অ্যাসটেরিক্স অত্তো শক্তিশালী যোদ্ধা। ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’-এও শীর্ষেন্দু এনেছেন এটাসেটামিক্সের মতো একটি চরিত্র, বুরুনের দাদু রাম কবিরাজ। তিনিও এমন সব আশ্চর্য পাঁচন তৈরি করেন, যা খেলে মানুষ-কে-মানুষ পর্যন্ত পালটে যায়। শকড্ নার্ভ ধাতস্থ হয়, যেমনটা হয়েছিল দারোগা অয়স্কান্তের। গদাই দারোগার শরীরে হয়েছিল দুনো বল, স্বভাব হয়েছিল মারমুখো। শুধু গায়ের জোরই নয়, মাথার জোর বাড়ানোর উপকরণও মজুত ছিল সেই পাঁচনে। তাই তো গদাই দারোগা এলাকার ত্রাস হাবু ওস্তাদকে জব্দ করতে পেরেছিল। পরে হাবু ওস্তাদ যখন বুরুনকে কিডন্যাপ করে ঘুম পাড়িয়ে রেখে দেয়, তখন বুরুনকে উদ্ধার করতে যান অঙ্কস্যার করালীবাবু। করালীবাবুকেও খাওয়ানো হয়েছিল রাম কবিরাজের আশ্চর্য পাঁচন। শুধু মানুষ নয়, রাম কবিরাজের পাঁচন ভূতেদেরও কাজে লাগে। গায়েগতরে ব্যথা হলে কিংবা কাজ করে হাঁফিয়ে পড়লে ফের চনমনে হয়ে ওঠার নস্যি বানিয়ে দিয়েছেন খোনাসুরকে।

উপন্যাসের কাহিনিতে বেশি ঘোরপ্যাঁচ নেই। নিধিরামকে পেয়ে বুবুন রাতারাতি হিরো বনে গিয়েছিল বটে, কিন্তু সুখ বেশিদিন সয়নি। হাবু ওস্তাদ জেল থেকে ছাড়া পেয়েই নিধিরাসুদ্ধু এলাকার সব ভূতেদের মন্ত্রবলে বশীভূত করে নেয়। তাদের দিয়েই আবার সে কাজ করাতে শুরু করে। আর বুরুনও বাধ্য হয়ে নিজেই অঙ্ক বুঝতে শুরু করে। হাবু ওস্তাদের জেলে যাবার পেছনে রাম কবিরাজের হাত ছিল বুঝতে পেরে হাবু তাঁর ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়। কিডন্যাপ করে বুরুনকে। হাবু হিপনোটিজম জানত। বুরুন আর বুরুনের বন্ধু ভূতুমকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়। ঘুমের মধ্যে বুরুন আর ভূতুম চলে যায় এক সুন্দর দেশে, যেখানে অঙ্ক নেই, রাশভারী বাবার বকা নেই, করালীস্যার নেই। কিন্তু বাস্তবের দুনিয়ায় জলদিই যে তাদের আয়ু কমে আসছে। খাওয়াদাওয়া নেই, রোগা হয়ে গেছে তারা দুদিনেই। তাই ওদের ঘুম ভাঙাতেই হবে। আর ঘুম ভাঙবে কী করে? যদি বুরুনকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, তার ব্যর্থতা। সেই পুরনো অপমানের স্মৃতি যদি উসকে দেওয়া যায়, তবেই বুরুন জেগে উঠবে। তাই করালীস্যার শুরু করেন মন্ত্র জপা, ‘বুরুন তুমি অঙ্কে তেরো! বুরুন তুমি অঙ্কে তেরো! বুরুন তুমি অঙ্কে তেরো!’ বুরুনের ঘুম ভাঙে। আর যে মুহূর্তে বুরুন হাবুর মায়াজাল কেটে বেরিয়ে এল, হারুর মন্ত্রের জোর গেল উবে। হাবুকে আর কেউ ভয় পেত না। হাবু এখন স্কুলে ঘন্টা বাজানোর চাকরি নিয়েছে। আর বুরুনের সেই তেরো করালীবাবুর জীবনে এখন ভারী শুভ সংখ্যা। পরের পরীক্ষায় বুরুন অঙ্কে একশো পেলেও করালীস্যার সব্বাইকে একশোয় তেরো দিয়ে বসেছেন।

অদ্ভুতুড়ে সিরিজের প্রথম উপন্যাসের একটি চরিত্র দ্বিতীয় উপন্যাসেও অল্প একটু মুখ দেখিয়ে গেছেন। তিনি নিশিদারোগা। ইতিমধ্যে নিশিদারোগার বয়স হয়েছে, রিটায়ার করার বেশিদিন বাকি নেই। তিনি গিয়েছিলেন হাবুকে ধরতে। কিন্তু পারেননি। রাম কবিরাজকে জানিয়ে গিয়েছিলেন হাবুর আশ্চর্য শক্তির কথা। এভাবে পুরনো চরিত্রের দেখা পেলে মনটা বেশ খুশি খুশি হয়ে যায়। আর সিরিজের ধারাবাহিকতাও বজায় থাকে।

২০১১ সালে উপন্যাসের কাহিনি অবলম্বনে নীতিশ রায়ের পরিচালনায় তৈরি হয় ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ চলচ্চিত্রটি। উপন্যাস পড়লেই মালুম হয়, এ কাহিনিতে ভিজুয়াল এফেক্টস কাজে লাগানোর পরিসর অনেক। তবে আজ থেকে তেরোবছর আগে বাংলা সিনেমায় ভিএফএক্সের কারিকুরি মোটেই প্রশংসনীয় ছিল না। আজকের নিরিখে ছবির মান বেশ খারাপই বলা চলে। তবে নিধিরাম ভূতের চরিত্রে কাঞ্চন মল্লিককে বেছে নেওয়া যে একেবারে যথাযথ হয়েছিল, এ বিষয়ে দ্বিমত ছিল না, এখনও নেই। আর একটা বিষয় উল্লেখ না করলে বড়ই অন্যায় হবে, তা হল ছবিটির গান। চন্দ্রবিন্দু মন প্রাণ ঢেলে গানগুলি বানিয়েছিল। ‘বুরুন তুমি অঙ্কে তেরো’, ‘আমার ভূত সব নিখুঁত’, ‘নিধিরামকে পাকড়াও’— গানগুলো বড্ড মিষ্টি, সুর আর লিরিক বড় মনকাড়া।

জনপ্রিয়তার নিরিখে ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ সম্ভবত ‘মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি’র পরেই থাকছে। মির্চি বাংলায় সানডে সাসপেন্সের আসরে এ গল্প পড়া হয়েছে। ইউটিউবে সেই অডিওস্টোরির দেড় মিলিয়ন অনুরাগী ভক্ত। ইদানীং গ্রাফিক নভেলের বড় চাহিদা। রংবেরঙের ছবিতে আঁকা কাহিনি পড়ার ভক্তসংখ্যা বাড়ছে। এ সময়ের প্রখ্যাত ইলাস্ট্রেটর সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’-এর গ্রাফিক নভেলটি বানিয়েছেন। ছোট বইয়ের আকারে আনন্দ পাবলিশার্স থেকে বেরনো উপন্যাসটিতে সাদায়-কালোয় ছবিগুলি এঁকেছিলেন সুব্রত গঙ্গোপাধ্যায়। সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রঙিন গ্রাফিক নভেলটি অবশ্য আরও অনেক বেশি আকর্ষণীয়।

 

তথ্যসূত্র:

https://thedoctorsdialogue.com/bullying/