রবীন্দ্রনাথ ও মারাঠী তরুণী আনা তড়খড় : প্রেম ও কবিতা
- 09 May, 2021
- লেখক: সৌভিক ঘোষাল
রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কের সূত্রে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় নিঃসন্দেহে তাঁর ‘নতুন বৌঠান’ কাদম্বরী দেবীর কথা। অনেক পরবর্তীকালের রবীন্দ্রসঙ্গিনী ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোকে নিয়েও আলোচনা কম নয়। তবে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সম্পর্কসূত্রে অন্য যে তরুণীর কথা আসে, সেই আনা তড়খড়কে নিয়ে আলোচনা অনেক কম।
আনা তড়খড় ছিলেন তৎকালীন বোম্বাইয়ের শেরিফ ডাক্তার আত্মারাম পাণ্ডুরঙ এর দ্বিতীয় কন্যা। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় এবং অমিতাভ চৌধুরী ভুলবশত আনাকে দাদোবা পাণ্ডুরঙের কন্যা বলে উল্লেখ করেছিলেন, কিন্তু এই ভুলের সংশোধন করে দিয়েছেন রবিজীবনীকার প্রশান্তকুমার পাল। রবীন্দ্রনাথ নিজে আনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে দিলীপকুমার রায়ের কাছে আনাকে ‘মারাঠী ষোড়শী’ বলে উল্লেখ করেছেন। মজার ব্যাপার হল এই উল্লেখ থেকে মনে হতে পারে আলাপের সময় তখন সতেরো রবীন্দ্রনাথের থেকে ‘ষোড়শী আনা’ যেন এক বছরের ছোট। বাস্তবে অবশ্য আনা রবীন্দ্রনাথের থেকে ছ বছরের বড় ছিলেন। আনার স্কুল সংক্রান্ত কাগজ ও অন্যান্য নথি ঘেঁটে সে সব তথ্য আমাদের সামনে এনে দিয়েছেন প্রশান্তকুমার পাল। আমরা এখানে আর তার বিস্তারিত উল্লেখ করছি না। আগ্রহীরা রবিজীবনীর দ্বিতীয় খণ্ডের ২৯, ৩০ নং পাতা দেখে নিতে পারেন। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জনশতবর্ষে মারাঠী মাসিক পত্রিকা মনোহর এর সেপ্টেম্বর ১৯৬১ সংখ্যায় এস বি যোশীও উল্লেখ করেছিলেন আনা তড়খড়ের জন্ম ১৮৫৫ সালে, অর্থাৎ তিনি রবীন্দ্রনাথ থেকে ছয় বছরের বড় ছিলেন।
আনা ১৮৭৬ সালে ইংলণ্ডে গেছিলেন। ১৮৭৮ সালে ২৩ বছর বয়সে ইংলণ্ড থেকে ফেরার পর রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়। রবীন্দ্রনাথ ১৮৭৮ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বোম্বাই থেকেই ইংলণ্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন। মুম্বাই বাস পর্বে তাঁর সঙ্গে আনার প্রথম আলাপ।
বিলেত যাবার আগে কলকাতা থেকে রবীন্দ্রনাথ প্রথমে গেছিলেন আমেদাবাদে তাঁর মেজদাদা সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে। সত্যেন্দ্রনাথ তখন আমেদাবাদে সেশন জাজ। তাঁর আগ্রহেই দেবেন্দ্রনাথ রাজি হন রবীন্দ্রনাথকে ব্যারিস্টার হবার জন্য বিলেতে পড়তে পাঠাতে। আমেদাবাদ এ কিছুদিন থাকার পর রবীন্দ্রনাথকে সত্যেন্দ্রনাথ পাঠিয়ে দেন বোম্বাই এর এক পরিবারের কাছে, গৃহবিদ্যার্থীরূপে। ডাক্তার আত্মারাম পাণ্ডুরঙ এর কন্যা আনা তখন সদ্য বিলেত থেকে ফিরেছেন, তিনি নানা ইউরোপীয় ভাষা ও আদব কায়দা জানেন। পাণ্ডুরঙ পরিবারে মাস দুয়েক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই সময়টায় আনা রবীন্দ্রনাথের শিক্ষয়িত্রী হয়ে ওঠেন। রবীন্দ্রনাথকে বিলিতি আদবকায়দা ও ইংরেজী শেখাবার ভার পরে তাঁর ওপর। ছেলেবেলাতে পরুবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ এই প্রসঙ্গে লিখেছিলেন, “মেজদাদা মনে করলেন, বিদেশকে যারা দেশের রস দিতে পারে সেই রকম মেয়েদের সঙ্গে আমাকে মিলিয়ে দিতে পারলে হয়তো ঘরছাড়া মন আরাম পাবে। ইংরাজী ভাষা শেখবারও সেই হবে সহজ উপায়।” তবে এই সম্পর্ক ছাত্র শিক্ষিকার সম্পর্কেই কেবল আবদ্ধ থাকে নি।
এই প্রসঙ্গে কবিমানসী গ্রন্থে অধ্যাপক জগদীশ ভট্টাচার্য আমাদের জানিয়েছেন যে রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিত্ব ও কাব্যপ্রতিভায় আনা অনুরক্ত হন। “সম্পর্ক বদল হল। বিদ্যার্থী বসলেন গুরুর আসনে, আর শিক্ষয়িত্রী হলেন নবীন কবির কাব্য সংগীত সৌন্দর্যমুগ্ধ অনুরাগময়ী প্রিয়শিষ্যা।” সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথের কবিকাহিনী ভারতী পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। তার অনুবাদ আনাকে শোনাতেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু শুধু অনুবাদে আনার মন ভরে নি। প্রিয়-কবির কাব্যরস আস্বাদনের জন্য তিনি বাংলা ভাষা শিখতে শুরু করেন। রবীন্দ্রনাথ বিলেতে থাকার সময় কবিকাহিনী গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় এবং তা পাঠানো হয় আনার কাছে। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ এটি পাঠিয়েছিলেন এবং আনা এজন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে যে জবাবী চিঠি পাঠান সজনীকান্ত দাস সেটি আবিষ্কার করেন। আগ্রহী পাঠক জগদীশ ভট্টাচার্যের কবিমানসীর প্রথম খণ্ডের ১০৪ – ১০৫ নং পাতায় আনার লেখা সম্পূর্ণ চিঠিটি পাবেন।
রবীন্দ্রনাথ বিলেত চলে যাবার পর আত্মারাম পাণ্ডুরঙ তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে কোলকাতায় এসেছিলেন এবং আত্মারাম ফিরে যাবার পরেও আনা ও তাঁর দিদি বেশ কিছুদিন কোলকাতায় থেকে গিয়েছিলেন। ঠাকুর পরিবারের সঙ্গে যে সকন্যা আত্মারাম পাণ্ডুরঙের এই পর্বে যথেষ্ট যোগাযোগ হয়েছিল, রবিজীবনীকার শুধু সেই অনুমানই করেন নি, আনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রণয়ের সূত্রে কিছু নির্দিষ্ট প্রস্তাবও তিনি রবীন্দ্রনাথের অভিভাবকদের দিয়েছিলেন – এমন কথাও ভাবতে চেয়েছেন। “রবি অনুরাগিণী আনার হৃদয় দৌর্বল্য দেখে কন্যাবৎসল ডাঃ পাণ্ডুরঙ হয়তো সেই অনুরাগকে সার্থক করার জন্য বিশেষ কোনও প্রস্তাব নিয়েই কলকাতায় এসেছিলেন”। অবশ্য এটি যে নিছক অনুমান, নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ যে নেই এরকম ভাবনার, তাও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
যদি এরকম কোনও প্রস্তাব থেকেও থাকে তা যে আর এগোয় নি কোনও বন্ধনের দিকে তা আমরা সবাই জানি। এর কয়েক মাস পরে ১৮৭৯ সালের ১১ নভেম্বর বরোদা কলেজের উপাধ্যক্ষ হ্যারল্ড লিটলডেলের সঙ্গে আনার বিবাহ হয়। এই বিবাহও কিন্তু অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ ছিল না, লাভ ম্যারেজই ছিল। আনা তড়খড়ের মৃত্যুর পর বামাবধিনী পত্রিকায় ১৮৯১ সালে যে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়, সেখানে লেখা হয়েছিল, “ডবলিন নগরে বরদা কলেজের অধ্যাপক লিটলডেলের সহিত তাঁহার প্রথম সাক্ষাৎ হয়। এই সাক্ষাৎই প্রণয়ের মূল। এই প্রণয়ই পরিণামে প্রণয়ে পরিণত হয়”। সময়পর্ব অনুসরণ করে বোঝা যায় রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে আনা তড়খড়ের সম্পর্ক তাহলে আনা ও লিটলডেলের সঙ্গে প্রণয় ও পরিণয়ের মধ্যবর্তী পর্বের ব্যাপারই ছিল।
বিবাহের পরেও আনা রবীন্দ্রনাথকে ভুলে যান নি। রবীন্দ্রনাথের দেওয়া আদরের ডাক নাম নলিনীকে তিনি মনের মধ্যে রেখেছিলেন; দেশি ও বিলিতি সংবাদপত্রতে নানা প্রবন্ধ, গদ্য ও পদ্য লেখার সময় আনাবাই নলিনী নামটি ব্যবহার করতেন। তাঁর এক ভাইয়ের ছেলের নাম রাখা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ।
নলিনী নামটি রবীন্দ্রনাথের নানা রচনাতেই ঘুরে ফিরে এসেছে। জগদীশ ভট্টাচার্য তাঁর কবিমানসীর দুই খণ্ডে এ বিষয়ে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। শৈশব সংগীতের প্রভাতী, গোলাপবালা প্রভৃতি কবিতায় আনার সঙ্গে সম্পর্ক সূত্রটির আভাষ রয়েছে। তার গানের রূপটি আবার ধরা আছে ‘রবিচ্ছায়া’তে। কবিকাহিনী তো রচিতই হচ্ছিল আনার সঙ্গে সময় কাটানোর সমকালে। ফলে তার মধ্যে আনা রবীন্দ্রনাথের সম্পর্কের ছাপ খুঁজে পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। এরপর নলিনী আবার ফিরে এসেছেন ‘ভগ্নহৃদয়’ নাট্যকাব্যে। এরপর ১৮৮৪ তে (১২৯১ বঙ্গাব্দে) নলিনী নামে একটি গদ্যনাট্য লিখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। অবশ্য প্রথম প্রকাশের পর থেকে বিশ্বভারতী প্রকাশিত রবীন্দ্র রচনাবলীর অচলিত সংগ্রহের প্রথম খণ্ডে পুনর্মুদ্রণের আগে অবধি এই বই আর প্রকাশিত হয় নি। ‘নলিনী’র সংশোধিত গীতিনাট্যরূপ হল ‘মায়ার খেলা’। অনেক পরে লেখা হয় ‘পূরবী’ কাব্যগ্রন্থের ‘ক্ষণিকা’ ও ‘কিশোর প্রেম’ নামের দুটি বিখ্যাত কবিতা।
আনা বহুগুণে যে গুণান্বিতা ছিলেন তা তাঁর মৃত্যুর পরে বামাবোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত অজ্ঞাতনামা রচনাকারের লেখাটিতে উল্লিখিত হয়েছে। “গীতবাদ্যে তিনি সুনিপুণা ছিলেন। মাতৃভাষা মহারাষ্ট্রীয় ব্যতীত তিনি ইংরাজী, ফরাসী, জর্ম্মণ ও পর্ত্তুগীজ ভাষায় ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। এই সকল ভাষায় কথোপকথন করিতে পারিতেন। তিনি সংস্কৃতও কিছু কিছু জানিতেন। তাঁহার রীতি নীতি চাল চলন এত ভাল ছিল, তিনি এরূপ সদালাপিনী ছিলেন, যে একবার যিনি তাঁহার সহিত বাক্যালাপ করিয়াছেন, তিনিই তাঁহার হৃদয়গ্রাহিতার প্রশংসাবাদ না করিয়া থাকিতে পারিবেন না।”
আনা তড়খড়ের পরিবারের সঙ্গেও রবীন্দ্রনাথ যোগাযোগ রেখেছিলেন। আনার ছোটবোন মানকে অনেক পরে ১৯১৮ সালে লেখা এক চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ ১৭ বছর বয়সে আনাদের গৃহে দিন যাপনের মধুর স্মৃতি স্মরণ করেছেন, সময় সুযোগ মতো আবার সেখানে যেতে চেয়েছেন।
অধ্যাপক জগদীশ ভট্টাচার্য বলেছেন যে “পূরবী’র ‘ক্ষণিকা’ কবিতাটি আনার উদ্দেশে কবির শ্রেষ্ঠ কাব্যতর্পণ। পরিশেষে এই কবিতাটিকে এই প্রসঙ্গে আর একবার পড়া যাক -
খোলো খোলো, হে আকাশ, স্তব্ধ তব নীল যবনিকা—
খুঁজে নিতে দাও সেই আনন্দের হারানো কণিকা।
কবে সে যে এসেছিল আমার হৃদয়ে যুগান্তরে
গোধূলিবেলার পান্থ জনশূন্য এ মোর প্রান্তরে
লয়ে তার ভীরু দীপশিখা।
দিগন্তের কোন্ পারে চলে গেল আমার ক্ষণিকা।
ভেবেছিনু গেছি ভুলে; ভেবেছিনু পদচিহ্নগুলি
পদে পদে মুছে নিল সর্বনাশী অবিশ্বাসী ধূলি।
আজ দেখি সেদিনের সেই ক্ষীণ পদধ্বনি তার
আমার গানের ছন্দ গোপনে করেছে অধিকার;
দেখি তারি অদৃশ্য অঙ্গুলি
স্বপ্নে অশ্রুসরোবরে ক্ষণে ক্ষণে দেয় ঢেউ তুলি।
বিরহের দূতী এসে তার সে স্তিমিত দীপখানি
চিত্তের অজানা কক্ষে কখন্ রাখিয়া দিল আনি।
সেখানে যে বীণা আছে অকস্মাৎ একটি আঘাতে
মুহূর্ত বাজিয়াছিল; তার পরে শব্দহীন রাতে
বেদনাপদ্মের বীণাপাণি
সন্ধান করিছে সেই অন্ধকারে-থেমে-যাওয়া বাণী।
সেদিন ঢেকেছে তারে কী-এক ছায়ার সংকোচন,
নিজের অধৈর্য দিয়ে পারে নি তা করিতে মোচন।
তার সেই ত্রস্ত আঁখি সুনিবিড় তিমিরের তলে
যে রহস্য নিয়ে চলে গেল, নিত্য তাই পলে পলে
মনে মনে করি যে লুণ্ঠন।
চিরকাল স্বপ্নে মোর খুলি তার সে অবগুণ্ঠন।
হে আত্মবিস্মৃত, যদি দ্রুত তুমি না যেতে চমকি,
বারেক ফিরায়ে মুখ পথমাঝে দাঁড়াতে থমকি,
তা হলে পড়িত ধরা রোমাঞ্চিত নিঃশব্দ নিশায়
দুজনের জীবনের ছিল যা চরম অভিপ্রায়।
তা হলে পরমলগ্নে, সখী,
সে ক্ষণকালের দীপে চিরকাল উঠিত আলোকি।
হে পান্থ, সে পথে তব ধূলি আজ করি যে সন্ধান—
বঞ্চিত মুহূর্তখানি পড়ে আছে, সেই তব দান।
অপূর্ণের লেখাগুলি তুলে দেখি, বুঝিতে না পারি—
চিহ্ন কোনো রেখে যাবে, মনে তাই ছিল কি তোমারি।
ছিন্ন ফুল, এ কি মিছে ভান।
কথা ছিল শুধাবার, সময় হল যে অবসান।
গেল না ছায়ার বাধা; না-বোঝার প্রদোষ-আলোকে
স্বপ্নের চঞ্চল মূর্তি জাগায় আমার দীপ্ত চোখে
সংশয়মোহের নেশা— সে মূর্তি ফিরিছে কাছে কাছে
আলোতে আঁধারে মেশা, তবু সে অনন্ত দূরে আছে
মায়াচ্ছন্ন লোকে।
অচেনার মরীচিকা আকুলিছে ক্ষণিকার শোকে।
খোলো খোলো, হে আকাশ, স্তব্ধ তব নীল যবনিকা।
খুঁজিব তারার মাঝে চঞ্চলের মালার মণিকা।
খুঁজিব সেথায় আমি যেথা হতে আসে ক্ষণতরে
আশ্বিনে গোধূলি-আলো, যেথা হতে নামে পৃথ্বী-’পরে
শ্রাবণের সায়াহ্নযূথিকা,
যেথা হতে পরে ঝড় বিদ্যুতের ক্ষণদীপ্ত টিকা।
[Annapurna Pandurang Turkhad বাংলায় আনা তড়খড় নামেই সাধারণভাবে উল্লিখিত হন। Turkhad এর প্রতিবর্ণীকরণ কবিমানসীর লেখক অধ্যাপক জগদীশ ভট্টাচার্য করেছেন তরখড়, রবিজীবনীকার প্রশান্তকুমার পাল করেছেন তড়খড়। আমরা তড়খড় বানানটিই এই লেখায় ব্যবহার করেছি।]
আকর –
১) কবিমানসী (প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড) – জগদীশ ভট্টাচার্য
২) রবিজীবনী (দ্বিতীয় খণ্ড) – প্রশান্তকুমার পাল
৩) রবীন্দ্র রচনাবলী – বিশ্বভারতী প্রকাশিত
৪) রবীন্দ্র রচনাবলী, গ্রন্থপরিচয়, ষোড়শ খণ্ড – পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রকাশিত, শঙ্খ ঘোষ প্রমুখ সম্পাদিত