কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্ব প্রসঙ্গে

ট্রটস্কি সাহেবের সবচেয়ে বড়ো অবদান তাঁর "প্রতিস্থাপনবাদ" বা সাবস্টিটিউশনিজম এর তত্ব।  তিনি দেখিয়েছিলেন কি ভাবে একটি বিষয়কে উল্লেখের মধ্যে আসলে আর একটি বিষয়কে চালিয়ে ক্রমশ মানুষের মন থেকে ক্রমশঃ মূল বিষয়টিকে মুছে দেওয়া যায়।  তিনি যে উদাহরণটি দিয়েছিলেন - কেমন ভাবে শ্রেণীর নামে পার্টি, তারপর পার্টির নামে  পলিটব্যুরো, তারপর পলিটব্যুরোর নামে একজন নেতা -  এই ক্রমান্বয় এক চরম সংকোচনের দিকে এগিয়ে গিয়ে একচ্ছত্রবাদ প্রকট হয়।

এগুলো যেমন ব্যক্তিকে বিষয় এবং কাঠামোর ওপর প্রতিষ্ঠা করে, ঠিক সেই রকমভাবে মানুষের সম্মিলিত প্রজ্ঞাও তাকে মেনে নেয়, এবং এই ব্যতিচারকেই ভবিতব্য বলে ধরে নেয়. তখন এই সংকোচনই বিষয়টির চারিত্রিক বৈশিষ্ট বলে বাজারে বলতে থাকে, তাতে করে একটি সজীব গতিশীল বিষয় ধীরে ধীরে এক ফসিল এ পরিণত হয়, আর তা পরিত্যাজ্য হয়ে পড়ে। পরিশেষে যে মানুষগুলো মূল বিষয়টিতে অনুপ্রাণিত হয়ে সম্মিলিত সচেতনতা বৃদ্ধির লড়াইয়ে নেমেছিল, তারাই বিষয়টিকে জড় ফসিল হিসেবে পরিত্যাগ করে এমনকি সেই প্রারম্ভিক বিষয়টির হয় প্রকাশ্য বিরোধিতায় নামে  আর না হয় কৌশলে , বাক্যজালে তাত্ত্বিক ও দার্শনিক জিহাদে নামে।  

এমনটাই হয়েছে কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে গণতন্ত্রের বিষয়টিকে প্রতিস্থাপন করে কমিউনিস্ট পার্টির নামে  কমিউনিস্ট আমলাতন্ত্রের বিষয়টিকে নিয়ে আসা।  এই ক্ষেত্রে একটি মার্ক্সবাদী লেনিনবাদী গোষ্ঠীর এক চিন্তক এবার পথে নেমেছেন। একদা বড়ো একটি কমিউনিস্ট নামধারী পার্টির থেকে কিছু সচেতন ব্যক্তিত্ব বেরিয়ে গিয়েছিলেন, বর্তমান তাঁদের মধ্যে বেঁচে থাকা মানুষগুলো পেশার জীবনে এসে, কমিউনিস্ট পার্টির ধারণাকে বিরোধিতা করে ব্যক্তিবাদী দর্শনের অনুসারী হয়ে উঠেছেন। কয়েকজন তো আবার দক্ষিণপন্থী শিবিরেই আশ্রয় নিয়েছেন। 

খুব স্বাবাভিক ভাবেই এই যাত্রাটাই আসলে ভবিতব্য ছিল। এই প্রতিস্থাপনবাদী চিন্তা এক বিশেষ রাজনৈতিক বর্গ পর্যন্ত বানিয়ে ফেলেছে, এদের বলা হয় activist।  এরা  বর্তমানে এখন একটি স্বতন্ত্র "রাজনৈতিক শ্রেণী " বা political class  বানিয়ে ফেলার প্রাক মুহূর্তে এসে উপনীত হয়েছেন। এঁরা যতটা পারেন প্রত্যেকটি প্রতিবাদী দাবিদাওয়ার সঙ্গে থাকেন, কিন্তু থাকবেন নির্দলীয় রূপে, তারা সংগঠন তৈরী করবেন না, কমিউনিস্ট পার্টি তো একেবারেই নয়। তাঁরা ইসু থেকে ইসু তে প্রত্যেকবার নতুন ভাবে সম্মিলিত হবেন সংগঠিত হবেন না বা করবেনও  না।  এই ধরণের মানুষরা যাঁর তাত্ত্বিক অনুসরণ করতেন সেই "অতি শক্তিমান  রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অসংগঠিত ব্যক্তি" তত্ত্বের প্রবর্তক কিন্তু এখন আবার কমিউনিস্ট পার্টির গুরুত্ব নিয়ে ভাবতে শুরুই শুধু করেননি , সেই বিষয়ে তিনি এখন এক অগ্রপথিক।  ভারতবর্ষে এরকম এক প্রতিস্পর্ধী লেখক-চিন্তক-ব্যক্তি আছেন, তিনি এখন ঠিক নিজের অবস্থান নিয়ে ভাবছেন আর শুধুই ব্যক্তি হিসেবে বেঁচে থাকার "এক্টিভিস্ট" দের হাতছানি কে প্রত্যাখ্যান করছেন।  কিন্তু এই ব্যক্তিবাদী দর্শনে এখন একের পর এক "activist" এখনো প্রলুব্ধ হচ্ছেন আর প্রচুর প্রতিবাদ নিয়েই কোনো না কোনো দক্ষিণপন্থী শিবিরেই বেশ কিছুটা জ্ঞানতঃ এবং কিছুটা অজ্ঞানতঃ ঝুঁকে পড়ছেন।  একটা পরিপূর্ণ ব্যক্তি সত্তাকে এক অলীক মনগড়া "প্রতিবাদী সত্তা " কে "স্বাধীন স্বতন্ত্র" অভিধায় ডুবিয়ে মৌতাতে আছেন। মনে পড়ছে এক মহান চিন্তানায়কের চেতাবনি "You can only individuate in a society" অর্থাৎ ব্যক্তিত্ব কিন্তু সমাজের মধ্যেই গড়ে ওঠে। সামাজিক এবং সামাজিক ইস্যু-অতিক্রান্ত [transcendenting  individual issues ]  সংগঠন গড়ে তোলার কর্মকান্ড থেকে নিবৃত্ত থাকতে চেষ্টা করেন। এই এক্টিভিজম কোনো পরিবর্তন আনে না. বর্তমান দশকে পৃথিবী কাঁপানো সব জনসমাবেশ ঘটেছে কিন্তু সেগুলো সবই লক্ষ্য অর্জনে বিফল হয়ে সম্মিলিত হবে মানুষদের আবার সেই পুরোনো সমাজের গাড্ডায় রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে দুর্বল করার বদলে আরো শক্তিশালী বানিয়ে ফেলছে।  খুব পরিতাপের বিষয় হলেও দেখা যাচ্ছে যে এই "স্বাধীন, স্বতন্ত্র" activism ফ্যাসিবাদী দলকে সাহায্য করছে যাতে রাষ্ট্র তার ক্রমবর্ধমান নিপীড়ন কে সমাজের মননে ঢুকিয়ে দিতে পারছে আর মানুষ এই বড় জনসমাবেশের লক্ষ্য অর্জনের বিফলতা কে দেখে স্ব-অনুসারী মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছে তার পরে এক সময়ে সেই অনুসরণের প্রমুখ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।  এটাই হচ্ছে governmentality বা শত্রুকে আর শত্রু চিন্তাকে নিজের "আদর্শ" হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়ে বা মেনে নিয়ে নিজেই নিজের ও সানুবর্তী ও  সমমনের মানুষদের স্বার্থ বিরোধী কাজ করছে, প্রথমে অনেকটাই অজান্তে , অসাবধানে পরে সচেতনভাবে একেবারে প্রমুখ প্রবক্তা হিসেবে।  
আরো একটি বর্গ  তৈরী হয়েছে - "মানবাধিকার বর্গ "  , এঁরা দারুন লড়াকু, মানবাধিকারের প্রশ্নে , রাষ্ট্রের নিপীড়ণের বিরুদ্ধে সংবিধান অধিকার অনুযায়ী ব্যক্তির অধিকার প্রতিষ্ঠায় দুর্দান্ত লড়াই করেন।  কিন্তু শ্রেণী বা সংঘসত্তা বা বর্গসত্তার সমাজ বদলানোর আদর্শের লক্ষ্যে নয়. মনের মধ্যে সেই চিন্তা থাকলেও প্রকাশ্যে দল গঠন বা দল অনুসরণ নয়, কারণ কোন এক বা দুই ধর্মীয় সত্তার আদর্শ তাঁদের শিখিয়েছে যে অনুসরণ মানুষ করে না মেষ শাবকরা  করে. মানুষ হতে গেলে তাকে নেতা হতে হবে. এবার ভেবে দেখুন সবাই নেতা , কোনো সচেতন অনুসারী নেই , এই মানসিকতা থাকলে পৃথিবী থেকে জর্মন ফ্যাসিবাদ কে সোভিয়েত জনগণ তাড়াতে পারতো , বা ভিয়েতনাম হতে পারতো ? মানুষ তো সেখানে এক ডাকে বরফের নদীতে উপুড় হয়ে  মৃত্যুবরণ করলো যাতে তাদের মৃতদেহের ওপর দিয়ে ট্যাংক যদি পার করতে পারে।  এই প্রসঙ্গেAlthusser সেই অমোঘ ঘোষণা স্মরণে আসে যে "আমি মানবতাবাদ বিরোধী, আমি কমিউনিস্ট "[আমি anti-humanist , আমি কমিউনিস্ট , অর্থাৎ উনি খন্ড-চরিত্রে নয়, পূর্ণসত্তাতেই আস্থা রাখেন ], ১৯৬৮ র ফরাসি ছাত্রযুবক ও শ্রমিকদের শুরু করা বিশ্বব্যাপী সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পুরো পর্যায়টিতে বিদ্রোহী বিপ্লবী চিন্তকরা কমিউনিস্ট পার্টির পদ্ধতি ও সিদ্ধান্তগুলোকে তীব্রবিরোধিতা করেও কমিউনিস্ট পার্টি ছাড়েন নি , বা পাল্টা কমিউনিস্ট পার্টি গঠন করেন নি, এটাই কমিউনিস্ট কর্মনীতি ] 

নেতা হবার বাসনা ব্যক্তিবাদ যা বুর্জুয়া মতবাদ, মানুষকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে।  এই প্রসঙ্গে উঠে আসে কমিউনিস্ট আমলাতন্ত্রের প্রসঙ্গ।  কমিউনিস্ট কর্মীরা কেউ কৈলাশে চলে যান না , এই সমাজেই থাকেন।  এই সমাজের যাবতীয় ব্যক্তি উচ্চাকাঙ্খা তাদের মধ্যে থাকবেই।  যে কোনো সামাজিক সংগঠনের একটা ক্ষমতা থাকে।  কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যেকার ব্যক্তি উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে সেই ক্ষমতাকে আত্মসাৎ  না করার কোনো কারণ কারণ নেই। এই বিষয়ে তত্ব যতই শিক্ষক বাস্তব ব্যবহারে ব্যক্তি কমিউনিস্টদের আমলাতান্ত্রিক ক্ষমতা প্রয়োগ খুবই স্বাবাভিক, এবং যার যত বেশি তাত্ত্বিক সচেতনতার অভাব বা নিজের জীবনে তত্ত্ব কে যতটা অব্যবহৃত অব্যক্ত রাখবেন ততটাই সে আমলাতান্ত্রিক ব্যবহার করবে।  এগুলোই কমিউনিস্ট আমলাতন্ত্র কে পার্টির মধ্যে মান্যতা , গ্রহণযোগ্যতা আর পোষণ কে সাহায্য করে।  
তাহলে এর থেকে মুক্তি কোথায় বা কি ভাবে? এখানেই কমিউনিস্ট পার্টির গঠনতন্ত্র এই প্রক্রিয়াকে রুখে দেওয়ার হাতিয়ার দিয়েছে কমিউনিস্টদের  কাছে , সচেতন ভাবে তাকে অনুধাবন করা আর প্রয়োগ করার মধ্যে দিয়েই কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যেকার আমলাতন্ত্র কে রাখা যায়।  কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে কমিটি প্রথা , কমিটির মধ্যে গণতান্ত্রিক ভাবে বিতর্কএবং  দৈনন্দিন ব্যবহার এর পরিসর কে বিস্তৃত করা আর ক্ষুরধার করার মধ্যে দিয়েই কমিউনিস্ট পার্টিতে গণতান্ত্রিকতা দৃঢ় করা হয়ে থাকে , তাকে সচেতন এবং যথাবিহিত ও যথাযথ ভাবে অনুশীলন করে যেতে হবে প্রতি মুহূর্তে।  এর ব্যতিচার বা এই অনুশীলনে গাফিলতি বা নিস্পৃহতা পার্টির মধ্যে আমলাতন্ত্র কে প্রতিষ্ঠা করে. তাই কমিউনিস্ট আমলাতন্ত্র অলীক নয়, বাস্তব। একে আটকানোর গঠনতান্ত্রিক সুযোগ গুলোকে হাতছাড়া করলে [তা সে ইচ্ছাকৃত, বা ব্যবহারিক বা অজান্তে ] তা আমলাতন্ত্র তো আনবেই।  তখন তাকে বিভিন্ন লেবেল এঁটে [স্তালিনবাদ বা অন্যকিছু] বলে গাল দেওয়াটা সহজ হয় এবং সেই সুযোগকে সচেতন ভাবে প্রচার করার সংগুপ্ত উদ্দেশ্য অপ্রকট  রেখেও সম্মিলিত বোধে বা collective consciousness এ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়. এখানেই লেবেল মেরে দেওয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতার দু লাইনের লড়াই।  

"কমিউনিস্ট আমলাতন্ত্র" পার্টি র মধ্যে ব্যবহৃত করার যে ফাঁক তা কিন্তু ঢোকে কমিটি গুলোতে বিতর্ক গুলো এড়িয়ে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে বা বিতর্ক চেপে শুধু যান্ত্রিক ভাবে কিছু "টেকনিকাল" কাজ করার ফাঁকে আর আরো বেশি করে দৈনন্দিন সাংগঠনিক কাজের মধ্যে রাজনীতি এবং তত্ত্বায়ন [তত্ত্ব নয়] কে সরিয়ে রাখার এক কার্যকরী প্রয়োগের মধ্যে দিয়ে [যা অসেচতন ভাবে ঢোকে প্রথমে পরে সচেতন ভাবে বা দীর্ঘদীন ধরে প্রয়োগ করে এক ব্যবহারশীলতার মাধ্যমে - এটাই সংশোধনবাদের ব্যক্তি বহিঃপ্রকাশ , এর পর তা আসে কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে রাজনীতিহীনতা এবং ছল চাতুরির  প্রয়োগের মাধ্যমে।  যা প্রতি প্রেক্ষিতে, প্রতি কালে , প্রতিটি দেশে, প্রতি পার্টির মধ্যেই আছে  ও থাকবে।  ] 

এবার এটা আছে বলেই বাচ্চা  সমেত চৌবাচ্চা কে ফেলে দেওয়ার তত্ত্বায়ন কে সামনে আনা হয় বুর্জুয়া দর্শন আর দক্ষিণপন্থী পার্টিগুলোর সেবা করবার প্রয়োজনে।  তখনি শুরু হয় লেবেল এঁটে দেওয়ার প্রবণতা। এটাই প্রতিস্থাপনবাদ।  একটা দোষ [খুবই গুরুতর যদিও] কে দেখিয়ে পুরো কাঠামো এবং চিন্তা কে রঞ্জিত করে পরিত্যাগ করার প্রতিস্থাপনবাদ। এটাই ব্যক্তি উচ্চাকাঙ্ক্ষার subversion  বা অন্তর্ঘাত কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে। এটাই দক্ষিনপন্থার সেবা।  লেনিন সাহেব ঠিক এই কারণেই পার্টির বাইরে ব্যক্তি কমিউনিস্ট হওয়াকে কটাক্ষ করেছিলেন , একটু বেশি কড়া করেই বলেছিলেন হয়তো [হয়তো কেন, বাস্তবেই ] তবে মূল উদ্দেশ্যটা উনি ব্যক্ত করেছিলেন খুব পরিষ্কার করেই। খুব পরিষ্কার করেই রেখেছিলেন যে কমিউনিস্ট পার্টির বাইরে ব্যক্তি-কমিউনিস্ট এর টিকে থাকার বাস্তব শর্ত গুলো বা ভিত্তি ক্রমশ  সংকুচিত হতে হতে বিলীন হয়ে যায় ক্রমান্বয়ে। 

বিতর্ক গণতান্ত্রিকতার প্রাণশক্তি। কমিউনিস্ট পার্টি তার গঠনতন্ত্রের মধ্যে তাকে টিকিয়ে রাখে আর বর্ধিষ্ণু করে. তবে বিতর্কের অজুহাতে আশু কাজ না করা বা বারেবারে একই "বিতর্ক" বা বিষয়কে প্রেক্ষিতহীন ভাবে তুলে কমিউনিস্ট পার্টির কার্যকরী শক্তিকে দুর্বল করে তোলার প্রচেষ্টা সেই সাবভার্সন যা উৎপাদিকা শ্রেণীর শক্তি তে দুর্বল করে দে।  এটাই লিবেরালিজম বা "উদারনৈতিকতার" কর্মপদ্ধতি যা কায়েমী স্বার্থ এবং কায়েমী সমাজব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখে আর বাড়িয়ে তোলে।  এই আপাতঃ ভালোমানুষী , মেপে  ঝুঁকে পথ চলার , স্থিতিস্থাপকতার বজায় রাখার, ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে না পড়ার  কর্মপদ্ধতি নিপীড়ক রাষ্ট্রব্যবস্থাকে প্রশ্রয় দিয়ে ফ্যাসিবাদের ক্রমবর্ধমান প্রকল্পকেই  সাহায্য করে।   ফ্যাসিবাদ টিঁকে থাকে আর প্রশ্রয় পেয়ে বেড়ে উঠে সমাজের মধ্যে বিষবাস্প ছড়াতে পারে কমিউনিস্ট ঐক্য কে ভেঙে ছত্রখান ব্যক্তি সমালোচক বানিয়ে।  সমস্যা তা তাই যতটা না কমিউনিস্ট আমলাতন্ত্র তার থেকে অনেক বেশি "স্বাধীন স্বতন্ত্র" ব্যক্তিবাদ।  প্রথমটাকে তীক্ষ্ণ নজরদারিতে বেঁধে রাখা যায় , দ্বিতীয়টিকে অর্গলহীন ভাবে মুক্ত করে দিয়ে ফ্যাসিবাদ কে বাড়িয়ে তোলা হয়. এখানেই দু লাইন।

[এটি অন্যস্বরের বিতর্কের পাতা। উদ্দেশ্য মত বিনিময়। চিন্তা বিনিময়। এখানে প্রকাশিত বক্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। তার সঙ্গে অন্যস্বরের সম্পাদকমণ্ডলীর বা পত্রিকার কোনও সম্পর্ক নেই।]