দেশভাগের ছবি : গরম হাওয়া

‘আজ রাত মে বহোত গর্ম হাওয়া হ্যায়/আজ রাত নিঁদ নেহি আতে’

– কায়ফি আজমি

১৫ই আগস্ট ১৯৪৭। ভারতবাসীর কাছে যুগপৎ হর্ষ ও বিষাদের দিন। ২০০ বছরের বৃটিশ শাসনের অবসানে সদ্যোজাত স্বাধীনতার স্বাদে একদিকে ভারত ভূখন্ড যখন উচ্ছ্বসিত, অন্যদিকে, ধর্মীয় বিভাজন সীমারেখা টেনে দিল যুগ যুগ ধরে পাশাপাশি বসবাস করা, একসাথে বেড়ে ওঠা মানুষগুলির মধ্যে। বলতে গেলে কলমের এক খোঁচায় দীর্ঘদিনের বন্ধু অকস্মাৎ হয়ে গেল শত্রু, স্বদেশ হয়ে গেল বিদেশ। অখন্ডিত ভারতীয় মুসলিম জনগোষ্ঠী, যারা এতদিন ভারতীয় সমাজের অচ্ছেদ্য সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অঙ্গ ছিলেন, নিমেষে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন শিকড় থেকে, তাদের মধ্যে যারা পাকিস্থানে চলে গেলেন, হয়ে গেলেন ‘রিফিউজি’, আর শত ভীতি, লাঞ্ছনা, উপেক্ষা করেও যারা রয়ে গেলেন এ দেশের মাটিতে, তারা হয়ে গেলেন সংখ্যালঘু। শুধু তাই নয়, দেশভাগের সম্পূর্ণ দায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে চাপিয়ে দেওয়া হতে লাগল তাদের উপরে। পাকিস্তানে থেকে যাওয়া হিন্দু এবং এদেশে চলে আসা হিন্দুদেরও সমগোত্রীয় দুর্দশার সম্মুখীন হতে হয়।

দেশভাগের পর এ দেশে থেকে যাওয়া মুসলিম পরিবারগুলির মধ্যে ভাঙন ও দুর্দশাকেই চিত্রিত করে এম. এস. সথ্যু নির্দেশিত ‘গরম হাওয়া’ ছবিটি। ১৯৪৮-এ সাদাত হাসান মান্টো মুম্বাই থেকে করাচিগামী জাহাজে উঠে বসলেও বন্ধু ইসমত চুঘতাই থেকে গেলেন এ দেশে। স্বনামধন্য এই উর্দু লেখিকার একটি অপ্রকাশিত গল্পকে ভিত্তি করে ‘গরম হাওয়া’ ছবিটির চিত্রনাট্য রচনা করলেন কায়ফি আজমি ও শামা জায়দি। সত্যজিৎ রায়ের মতে, ‘In the context of a largely themeless Hindi cinema, Garam Hawa goes to the other extreme of taking a story(by Ismat Chughtai) which for its theme alone would have made the film a milestone, even if it lacked the other qualities.’(Our films Their films, p-100) ছবির মূল চরিত্র আগ্রানিবাসী সালিম মির্জা পেশায় জুতোর ব্যবসায়ী, তাঁর ভাই হালিম মির্জা মুসলিম লীগের আঞ্চলিক নেতা। বকর ও সিকান্দার(ফারুক শেখ) সালিমের দুই ছেলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অভিনেতা ফারুক শেখের প্রথম অভিনীত ছবি ছিল এটি। দেশভাগের সময় হালিম মির্জা সপরিবারে পাকিস্তানে চলে যান। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রচরিত্রে আস্থাজ্ঞাপন করে এ দেশে থেকে গেলেও সালিম মির্জা পরিবার প্রতি মুহুর্তে অসহায় বোধ করে, ধর্মীয় গোঁড়ামির প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়, দেশের প্রতি তাদের বিশ্বস্ততায় প্রশ্নচিহ্ন দেগে দেয় নবগঠিত রাষ্ট্র। এই সমস্ত অন্তর্লীন যন্ত্রণার মূক অভিব্যক্তি শরীরে নিয়ে অভিনয় করেন বলরাজ সাহনি সালিম মির্জার চরিত্রে। ছবিটি দেখতে দেখতে মনে হয় যেন তাঁর শরীরের উপর দিয়ে চলে গেছে সেই সীমারেখা। সথ্যু জানিয়েছিলেন, ছবির শেষে উর্দু কবিতার শুরুতে ‘ইনসান কব তক আকেলা জি সাকতা হ্যায়’ লিখে দিয়েছিলেন বলরাজ সাহনি নিজেই, চিত্রনাট্যে ছিল না এই পংক্তিটি। এই নিঃসঙ্গভাবে বেঁচে থাকার অসহনীয় ভারই বিরাজ করে বলরাজ সাহনির চোখেমুখে, তাঁর মুখ যেন হয়ে ওঠে দ্বিখন্ডিত দেশের মানচিত্র। পটচিত্রের কাহিনীর মতো টুকরো টুকরো ঘটনার অভিঘাতের রেশ থেকে যায় ছবিটি দেখার পরও, তাতে যোগ্য সঙ্গত করে বাহাদুর খানের সঙ্গীতের মূর্ছনা।

চিত্র ১: ছবির শুরুতেই কলাকুশলীদের নাম যখন ফুটে ওঠে পর্দায়, স্হিরচিত্রের মন্তাজ চলতে থাকে যেখানে স্বাধীনতার উদযাপনের ছবির পরেই আসে দেওয়ালে ঠেস দিয়ে রাখা অসংখ্য কৃপাণ, কুঠার। বুঝতে অসুবিধা হয় না জাতিদাঙ্গার ইঙ্গিত। তারপরই একে একে আসতে থাকে বন্দুক, কাঁদানে গ্যাসের বন্দুক(দাঙ্গাকারীদের ছ্তভঙ্গ করার জন্য পুলিশের ব্যবহৃত), লোকালয়ের ধ্বংসস্তুপ(দাঙ্গার ইঙ্গিতবাহী), হতাশা-দুঃখে জর্জরিত উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া মানুষ, সীমান্ত পারাপারকারী রেলে উপচে পড়া মানুষের ভীড়, খোলা আকাশের নীচে বিস্তীর্ণ, রুক্ষ প্রান্তরে উদ্বাস্তু শিবির ও তার দৈনন্দিন দিনযাপন, নেহরুর ত্রাণপ্রচেষ্টা – দু মিনিটের কিছু বেশি সময়ের এই মন্তাজ ছবির মূল সুরটিকে বেঁধে দেয়, মন্তাজের শেষার্ধে তিনটি বুলেটের শব্দ ও মহাত্মা গান্ধীর ছবির ঝুঁকে পড়ার মধ্য দিয়ে মনে আসে আইজেনস্টাইনের পোটেমকিন-এ ঘুমন্ত সিংহের উঠে দাঁড়ানোর দৃশ্যটির কথা। সথ্যুর এই গান্ধী হত্যার দ্যোতনার মতোই আরো অনেক ব্যঞ্জনা ছড়িয়ে আছে ছবিটির শরীর জুড়ে।

চিত্র ২: রেল স্টেশনে সালিম মির্জা হাত নেড়ে বিদায় জানান ধাবমান রেলের জানালায় মুখ রেখে থাকা কোনো মানুষকে, টাঙাওয়ালা প্রশ্ন করে তাঁকে, আজ কাকে ছেড়ে এলেন? অর্থাৎ এই ট্রেনে তুলে বিদায় জানানো প্রথম নয়, কিছুদিন ধরেই সীমান্তপারাপারকারী গাড়িতে এ দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন মির্জার আত্মীয়পরিজনরা। ছোটো প্রশ্ন, গভীর ইঙ্গিতবাহী। মির্জা জানান দিদিকে পাকিস্থানগামী ট্রেনে তুলে দিয়ে এলেন।

চিত্র ৩: সালিম মির্জার শিশু পৌত্র জিজ্ঞাসা করে, পাকিস্তানেও এ দেশের মতো ঘুড়ি ওড়ে কি না।

চিত্র ৪: ইন্টারভিউয়ে সালিম মির্জার ছোটো ছেলে সিকান্দারকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি পাকিস্তানে চলে যাচ্ছেন না কেন? সেটা ‘আপনাদের’ পক্ষে অনেক সহজ হত।

চিত্র ৫: সিকান্দার চায়ের দোকানে গল্প করে। দোকানদার এগিয়ে দেয় সিঙাড়া, ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায় আড্ডায় অংশগ্রহণকারী একজন হাসতে হাসতে বলে, সিঙাড়া কি স্বাধীনতার আগের নাকি তার পরে তৈরী?

চিত্র ৬: যে সালিম মির্জার অগাধ বিশ্বাস ছিল এই দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি, মুসলিম কর্মচারীদের আশ্বস্ত করেন যিনি, গান্ধীজির ‘শাহাদাত’এর পর আর কোনো খুনজখম হবে না এ দেশে, কখনও দৃঢ়তার সাথে নিজের বিশ্বাস জানান দেন এই বলে যে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ধর্মকে কেউ গুরুত্ব দেবে না। সেই মির্জাকেও শুনতে হয় যে ধর্মের থেকেও যদি বড় কিছু থাকে এ দেশে, তা হল উৎকোচ, অর্থাৎ সদ্যোজাত দেশও মুক্ত নয় দুর্নীতির থেকে, বিশ্বাসের ভিৎ ক্রমশ আলগা হয় তাঁর।

চিত্র ৭: সালিম মির্জার ভাই হালিম পাকিস্তান চলে যান। কোনো ব্যাঙ্ক সালিমকে ব্যবসার জন্য ঋণ দিতে রাজি হয় না এই ভয়ে যে, যে কোনো সময় হয়তো সালিমও এ দেশ ছেড়ে চলে যাবেন। হিন্দু সুদের কারবারীরাও একই কারণে তাকে এড়িয়ে যায়। অন্যদিকে হিন্দু ব্যবসায়ীরা পেতে থাকে সব রকমের সুযোগসুবিধা। সালিম সৎ ব্যবসায়ী হওয়া সত্ত্বেও অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়তে হয় তাঁকে। এক সময় সালিমের বড় ছেলেও সপরিবারে পাকিস্তানে চলে যেতে বাধ্য হয়। রাতে খাওয়ার সময় প্লেট সাজাতে গিয়ে থমকে যায় আমিনা, ভুলবশতঃ প্লেট বেশি এনে ফেলেছে সে, পরিবারের সদস্য যে কমে গেছে আরও!

চিত্র ৮: বাসা বদলের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতে হয় সালিম মির্জাকে, কারণ যে হাভেলিতে তারা থাকতেন, তা ‘দাবীহীন সম্পত্তি’ হয়ে যাওয়ায় ক্রোক করার নোটিশ পান সালিম, যেহেতু হাভেলিটি হালিম মির্জার মালিকানাধীন ছিল। নাম শুনেই তাঁকে বাড়িভাড়া দিতে অস্বীকার করে কেউ, কেউ বা তাদের আমিষ খাদ্যাভ্যাসকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করে। আহত, হতাশাগ্রস্ত মির্জা সাহেব শেষ পর্যন্ত একটি বাড়িতে বাড়িওয়ালাকে কিছু বলতে না দিয়ে আগেই বলে দেন যে তাঁর নাম সালিম মির্জা, তিনি একজন ‘মুসলমান’। বোঝাই যায় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ দেশে ধর্মই প্রধান হয়ে উঠেছে।

চিত্র ৯: যাঁর কথা না বললে এ আলোচনা অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তিনি দাদীআম্মা, সালিম মির্জার মা। কিছুতেই নিজের হাভেলি ছেড়ে যেতে চান না তিনি, শেষ পর্যন্ত লুকিয়ে থাকেন চুল্লির কাঠ জমিয়ে রাখার গুদামঘরে। তাঁর মুখের বলিরেখায় যে যন্ত্রণার চিত্র ফুটে ওঠে, তা অবিস্মরণীয়। এক সময় তাঁকে আবার ভাড়াবাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনা হয় পুরনো হাভেলিতে, সুখস্মৃতিতে ডুবে থাকতে থাকতেই মৃত্যু হয় তাঁর, পরক্ষণেই ট্রেনের তীব্র হুইসিলের শব্দ বিঁধে যায় আমাদের, এই departure হতবাক করে দেয় আমাদের, ঠিক যেমন ‘অপরাজিত’ ছবিতে হরিহরের মৃত্যুর ঈঙ্গিতবাহী দৃশ্যে বেনারসের ঘাটে ডানা ঝাপটে পায়রাগুলোর উড়ে যাওয়ার সাথে সাথে করুণ সুরে দিগ্বিদিক মথিত হওয়া।   

চিত্র ১০: জাতিদাঙ্গায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সালিম মির্জার ফ্যাক্টরী, মির্জাকে পুলিশ গ্রেফতার করে চরবৃত্তির অভিযোগে, মেয়ে আমিনা প্রতারিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়(প্রকারান্তরে রাষ্ট্রই কী দায়ী ছিল না এই মৃত্যুর জন্য), মির্জা সিদ্ধান্ত নেন দেশত্যাগের। কিন্তু যৌবন বিদ্রোহ করে। ছেলে সিকান্দার পালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে এ দেশে থেকে সাধারণ মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাবী আদায়ের জন্য লড়াই করার কথা বলে। পরিচালক বুঝিয়ে দেন সময় থেমে নেই, সাম্যের মাধ্যমে নবযুগ আনার দাবী উঠতে শুরু করেছে।

ছবির শেষ দৃশ্যে একটা টাঙা এগিয়ে যায় রেল স্টেশনের দিকে৷ শেষ পর্যন্ত মির্জা পরিবারও চলে যাবেন পাকিস্তানে, টাঙা হঠাৎ থমকে যায়, উত্তাল এক জমায়েতের ভীড়ে৷ খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানের দাবীতে নবগঠিত স্বাধীন ভারতের স্বতস্ফূর্ত জমায়েত। সমবেত জনতার ধ্বনি উঠছে, ইনকিলাব জিন্দাবাদ, হাল্লা বোল।যে নিশান ওড়ে সেখানে তার রঙ লাল। টাঙায় বসে থাকা সিকান্দর মির্জাকে অকস্মাৎ দেখে ফেলে তারই কোনো বন্ধু৷ সে বলে ওঠে, ‘কোথায় যাচ্ছিস?’ সিকন্দর  এক বারের জন্য বাবার দিকে তাকায়, চোখে প্রশ্ন৷ সালিম মির্জা সম্মতি দিতে দ্বিধা করেন না। বলেন, মানুষ কতদিন একলা বাঁচতে পারে? সে লাফিয়ে নেমে যায়, মিশে যায় নতুন ভারতের ‘জনতার মুখরিত সখ্যে’৷ তাজা তরুণ আত্মবিশ্বাসী মুখগুলি দেখে মির্জা ফিরে পান তাঁর পুরনো আস্থা, টাঙা বাড়ির দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বলে নতুন করে বুক ভরে শ্বাস নিয়ে তিনিও সাম্যের দাবীতে পা মেলান, মিশে যান জনতার ভীড়ে। রাস্তাই হয়ে ওঠে একমাত্র রাস্তা। সত্যি তো, অন্ধকার, প্রতিকূলতা কোথায় নেই? সকলের সাথে মিলে সমবেত প্রতিরোধই তো একমাত্র পথ, মানুষ কতদিন একলা বাঁচতে পারে? ছবি শেষ হয় এই বলে – জো দূর সে তুফান কা করতে হ্যয় নজারা/উন কে লিয়ে তুফান উহা ভি হ্যয় ইহা ভি/ধারাওঁ মে জো মিল জাও, বন জাওগে ধারা/ইয়ে ওয়াক্ত কা এলান উহা ভি হ্যয় ইহা ভি( For those who watch the storm from afar/For them the storm rages equally whether here or there/If you join the mainstream you will merge with it/That is the call of the moment whether here or there.).....

 

শুধুমাত্র সামাজিক নয়, মানসিক বিপর্যয়ের সূক্ষ স্তরগুলিকে পরতে পরতে ছুঁয়ে যায় ছবির প্রতিটি দৃশ্য। ছবিটির প্রশংসা করে সত্যজিৎ রায় লিখেছিলেন, ‘Director Sathyu’s handling of it – except in a couple of extended and expendable passages in the second half – is calm, assured and entirely free from frills.’(ibid, p-101) সেনসর বোর্ডে আটকে যায় ছবিটি। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ছবিটি দেখানোর ব্যবস্থা করেন সথ্যু, তারপরই প্রায় আট মাস আটকে থাকার পর প্রাথমিকভাবে সীমিত কিছু হলে মুক্তির অনুমোদন পায় ছবিটি। ১৯৭৪-এ জাতীয় সংহতির উপর তৈরী সেই বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে জাতীয় পুরষ্কার এ ভূষিত হয় গরম হাওয়া। সেনসর বোর্ডে আটকে যাওয়া দিয়ে যে ছবির যাত্রা শুরু, তার জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত হওয়া এক অভাবনীয় ঘটনা। নূন্যতম বাজেটে তৈরী হওয়া ছবিটিতে বলরাজ সাহনি ছাড়া প্রায় সকলেই ছিলেন Indian People’s Theatre Association বা IPTAর কলাকুশলী যাদের বেশির ভাগের ছায়াছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা প্রায় ছিলই না। কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে অংশগ্রহণকারী ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল ‘গরম হাওয়া’, অস্কারের মঞ্চেও শ্রেষ্ঠ বিদেশী ছবির বিভাগে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করে এই ছবি, যদিও শেষ পর্যন্ত উভয় ক্ষেত্রেই পুরষ্কার অধরাই থেকে যায়। ছবিটির মুক্তি দেখে যেতে পারেন নি বলরাজ সাহনি, ডাবিং শেষ হওয়ার এক দিন পরেই মৃত্যু হয় তাঁর।

এই রাজ্য ও দেশ উভয়ই যখন দুটি পৃথক রাজনৈতিক দলের ফ্যাসিজমে জর্জরিত, ‘গরম হাওয়া’র মতো ছবি কিন্তু অন্ধকার সুরঙ্গের প্রান্তে আলোকরেখার দিশাই নির্দিষ্ট করে গণজাগরণের আশা সঞ্চারিত করার মাধ্যমে।