এক দেশ এক নির্বাচন এর স্লোগান – আড়ালে কি ?
- 06 December, 2020
- লেখক: সুমন সেনগুপ্ত
এক দেশ এক নির্বাচন তো কনস্টিটিউশন বা সংবিধানেরই অবমাননা।
রোজ নতুন নতুন কথা, রোজ নতুন নতুন ব্যস্ততা। রোজ নতুন আলোচনা। ৭১ তম সংবিধান দিবসে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবার বললেন যে ভারতবর্ষকে আমেরিকার মতো গণতন্ত্রে উন্নীত করবেন তাই এবার থেকে একবারই ভোট হবে প্রতি ৫ বছর অন্তর এবং প্রতিটি রাজ্যের বিধানসভা ভোটও একইসঙ্গে হবে। শুধু তাই নয়, তিনি বললেন কেওয়াইসি বা নো ইয়োর কাস্টমার এর নতুন মানে “নো ইয়োর কনস্টিটিউশন” অর্থাৎ নিজের সংবিধানকে জানুন। তাহলে জানা জরুরী সংবিধানে কি বলা আছে যে এই রকম পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে? প্রশ্ন উঠতে পারে এতে অসুবিধা কোথায়? এর মধ্যে দিয়ে তো দেশের উন্নতিই হবে। এর মধ্যে দিয়ে তো খরচ কমবে। মডেল কোড অফ কন্ডাক্টের দোহাই দিয়ে যে বিভিন্ন রাজ্যের প্রতি বছর ভোটের সময়ে উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ থাকে সেটা ৫ বছরে একবার হবে সুতরাং ‘ভারত আবার জগতসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে’। আরও একটা যুক্তি আসছে যে এক দেশে একবার নির্বাচন হলে মানুষ সারাক্ষণ রাজনৈতিক আলোচনাতে ব্যস্ত থাকবেন না বাকি সময়টাতে তাঁরা দেশ গঠনের কাজে নামতে পারবে্ন। এই আলোচনা শুধুমাত্র এখন থেকে শুরু হয়েছে এমনটা নয় এই আলোচনার শুরু যদি খেয়াল করা যায় বাজপেয়ীর সময় থেকে। কিন্তু আবার কেন এই আলোচনা ফিরে আসছে, এর পিছনে কি অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে?
এখন বুঝে নেওয়া দরকার দেশ শব্দটার মানে কি? ভারত কি আদৌ কোনও একটি দেশ? নাকি এর কোনও অন্য ব্যাখ্যা আছে যা সকলে জানলেও মন থেকে বিশ্বাস করেন না বা বুঝতে চাননা? আসলে গুজরাট থেকে আসাম , কাশ্মীর থেকে কেরালা ভারতের যে বৈচিত্র আছে তা সে ভাষাগত হোক বা খাদ্যাভাসের বা পোশাকের বৈচিত্র আছে আগে সেটাকে স্বীকার করতে হবে। যখন কেরালা বলে সে “ঈশ্বরের নিজস্ব দেশ” কিংবা কাশ্মীর থেকে ‘স্বাধীনতার’ আওয়াজ ওঠে তখন কি এটা মেনে নেওয়া যায়? আসলে এটার মধ্যেই ভারতের শক্তি এবং দুর্বলতা নিহিত আছে। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর এখনও কি আমাদের ভয় যে কোনও অঙ্গ রাজ্য আমাদের থেকে আলাদা হতে চাইছে কেন? তাহলে কি সেখানকার মানুষদের আমরা আপন করে নিতে পারিনি। যাই হোক সেটা অন্য ভিন্নতর বিতর্ক। আমাদের ভাবনার বিষয় ভারত কি অখণ্ড কোনও দেশ না অনেক আলাদা আলাদা দেশের সমাহার না আরও অন্য কিছু? সত্যিটা হল ভারত নিজে একটা রাষ্ট্র যেখানে গুজরাট থেকে বাংলা আর কাশ্মীর থেকে কেরালা সহ অন্যান্য সমস্ত দেশ এক জায়গায় এসেছে তাঁদের নিজস্ব স্বকীয়তা বা সার্বভৌমত্ব নিয়ে যাতে তাঁরা নিজেদের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে স্বাধীনভাবে আলাদা করে স্বাধীন হতে চেয়ে নয়। ঠিক যেমন একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ তার বিভিন্ন মাত্রার সম্পরকের বিকাশ নিয়ে তাঁর পিতামহের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে সেইভাবে। সুতরাং ভারতবর্ষকে কখনোই একটি একমাত্রিক জাতিয়তাবাদ দিয়ে বা একমাত্রিক জাতীয়তাবোধ দিয়ে কি সঙ্ঘায়িত করা উচিৎ না সম্ভব?
১৯৫১ সাল থেকে ১৯৬৭ কিন্তু ভারতে নির্বাচন হতো একসঙ্গেই। ১৯৫৭ সালে দেখা যায় প্রাথমিকভাবে যেভাবে ভাবা হয়েছিল সেখানে বেশ কিছু সরকার বাতিলের পরে সেই একসঙ্গে ভোট বিষয়টা ৭৬ শতাংশে এসে দাঁড়ায়। ১৯৬৭ সালে এটা ৬৭ শতাংশে থেকে এসে ঠেকে। ১৯৭০ সালে এই নির্বাচন সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যায়। ১৯৯৯ সালে বাজপেয়ীর সরকারের সময় লাল কৃষ্ণ আদবানি আবার এই প্রস্তাবকে সামনে আনেন।
যে যুক্তিগুলো সাজানো হচ্ছে এক দেশ এক নির্বাচনের স্বপক্ষে সেগুলো নিয়ে একটু কথা বলা জরুরী।
১। সরকারী খরচ কমানো সম্ভব হবে কারণ নির্বাচন কমিশনের হাতে এমনিতেও লোক কম , একদিকে খরচ ও কমবে সময় ও বাঁচবে।
২। অভিন্ন নির্বাচনী বিধি লাগু হয় প্রতিটি নির্বাচনের সময়ে যার ফলে উন্নয়নের কাজ থমকে থাকে।
৩। প্রতিটি রাজনৈতিক দল যেন জনগণের কাছে তাঁদের খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে।
এবার আসা যাক উল্টোদিকের যুক্তিতে।
১। ভারতের যে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আছে তাকে সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলাটাই উদ্দেশ্য । এক দেশ এক নির্বাচন হলে কেন্দ্র শক্তিশালী হবে আর অঙ্গরাজ্যগুলো ক্রমে দুর্বল থেকে দুর্বলতর হবে। জিএসটির মধ্যে দিয়ে এই কাজটি শুরু হয়েছে।
২। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মী কম এই অজুহাতে একসঙ্গে নির্বাচন করানো যায় না কারণ আলাদা নির্বাচন হলেও যতজন কর্মী লাগবে একসঙ্গে নির্বাচন হলেও সমসংখ্যক কর্মী লাগবে।
৩। বলা হচ্ছে যে খরচ কমবে কিন্তু যদি গত লোকসভা নির্বাচনের দিকে খেয়াল করা যায় তাহলে দেখা যাবে যে যারা এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশী খরচ করেছে তাঁরাই সবচেয়ে উঁচু গলায় এই বিষয়ে আওয়াজ তুলছে। সরকারী খরচ কম হলেও ঘুরিয়ে যা আকাশছোঁয়া খরচ কিছু কিছু দল করেছে তা দেখিয়ে দেয় এই খরচ কমানোর বিষয়টির কোনও অর্থই নেই। একদিকে খরচ কমানো আর অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর খরচ বেড়ে যাওয়া এই দুটোর মধ্যে কোনও সামঞ্জস্যই নেই।ছোট দলগুলো কিছুতেই বড় জাতীয় দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এঁটে উঠবে না।
৪। ১৯৮৯ সাল থেকে গত ২০১৯ সালেও এক সঙ্গে নির্বাচন হয়েছে বেশ কিছু রাজ্যে। দেখা গেছে যে ২০১৪ অবধি অন্তত ৩১ বারের মধ্যে ২৪ বার ভোটারেরা কেন্দ্রে যাকে ভোট দিয়েছেন রাজ্যেও একই দলকে ভোট দিয়েছেন অথচ বিভিন্ন রাজ্যের নির্বাচনী ইস্যু কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই ভিন্ন থাকে। যদি কোনও রাজ্যে গণতন্ত্র হয় তো কোনও রাজ্যে দুর্নীতি হতে পারে। যদি কখনও কেন্দ্রের নির্বাচনী ইস্যু দুর্নীতি হয় একটি অঙ্গ রাজ্যে সেটা নাও হতে পারে। ফলে একসঙ্গে ভোট হলে ভোটারেরা একরকম করে ভাবতে বাধ্য হবেন।
৫। যেহেতু এই মুহূর্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কোনও দৃশ্যমান বিকল্প চোখে পড়ছে না এবং ঘটনাচক্রে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটি শুধুমাত্র তাঁর ক্যারিশ্মার ওপর নির্ভরশীল সুতরাং তাঁর পক্ষেও একসঙ্গে নির্বাচন হলে সুবিধা হবে। কর্মসংস্থানের মতো বিষয়কে পিছনে ফেলে জাতিয়তাবোধের মতো কোনও উত্তেজনাকর ট্যাবলেট খাইয়ে পুরো দেশকে নিজের কব্জায় নিয়ে আসাটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
৬। অভিন্ন নির্বাচনী বিধিকে অনেক সময়েই সরকারের তরফ থেকে আবেদন করে চলমান কাজকে চালু রাখা যায়।
৭। এমনিতেই শোনা যায় যে নির্বাচন হয়ে গেলে জনপ্রতিনিধিদের আর ৫ বছরে দেখা মেলে না সুতরাং একসঙ্গে নির্বাচন না করে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচন হয় কখনও লোকসভা কখনও বিধানসভার তাহলে প্রচারের জন্য হলেও জনপ্রতিনিধিদের আবার এলাকায় আসতে হবে সেটা দিয়েই তিনি নির্বাচকমণ্ডলীর কাছে দায়বদ্ধ হবেন।
যদি গত বিহার নির্বাচনের প্রচারের দিকে একটু নজর দেওয়া যায়, তাহলে দেখা যাবে যে তৃতীয় পর্যায়ে মোদী কিন্তু তাঁর প্রচারের অভিমুখ রেখেছিলেন তাঁদের নিজস্ব যে চেনা মাঠ, অর্থাৎ বিভাজনের রাজনৈতিক মাঠ, সেইদিকে। তখন কিন্তু তাঁর মনে হয়নি উন্নয়নের কথা। তখন কিন্তু তিনি রামমন্দির বা কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তোলাকে তাঁর দলের কৃতিত্ব বলে প্রচার করেছিলেন। তাহলে আজ হঠাৎ এই কথা কেন? আসলে এই “ এক দেশ এক নির্বাচন” করার মধ্যে দিয়ে ভারতের গণতন্ত্রের যে মাধুর্য তাকে ভেঙে আমেরিকার মতো প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশনের দিকে নিয়ে যাওয়ার একটা চেষ্টা করা হচ্ছে যার মধ্যে দিয়ে আমাদের এই যে বহুদলীয় গণতন্ত্র সেটাই ধ্বংস করা হবে। কিন্তু আরও কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যেমন যদি দেখা যায় কেন্দ্রে কোনও দল সংখ্যাগরিষঠতা পাচ্ছে না তখন কি হবে? নাকি কোনোভাবে আপাতত কেন্দ্রের শাসকদল এটা বুঝতে পেরেছে যে তাঁরা যেভাবে ইভিএমকে এবং নির্বাচন কমিশনকে করায়ত্ব করেছেন আগামী ১০ বছরেও হয়তো তাঁদের কেউ হারাতে পারবেন না। প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার যার আমলে ৩২ কোটি আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ডের সনযুক্তিকরণ হয়েছিল সেই ওপি রাওয়াত এই একসঙ্গে নির্বাচন করার অন্যতম প্রবক্তা। নাকি এবার আধার যার কোনও বৈধতাই নেই, যেটা নিজেই কোনও পরিচয়পত্র নয় তার সঙ্গে ভোটার কার্ডের সংযুক্তিকরণটা বাধ্যতামূলক করা হবে যার মধ্যে দিয়ে আর কখনোই আর এই বিজেপির মতো শক্তিকে হারানো সম্ভব হবে না ? প্রাক্তন বিচারপতি কিছুদিন আগে একটি ইংরেজি দৈনিকে লিখেছিলেন যে ৫৮ কোটি ভুয়ো আধার হয়তো আছে কারণ আজ অবধি যত আধার আছে তার মধ্যে এই সংখ্যক আধার এখনও অবধি কোথাও কোনও দিন ব্যবহিত হয়নি। তাহলে সেই আধারের সঙ্গে ভোটার কার্ড যুক্ত করার মধ্যে দিয়ে এবং পাশাপাশি এক দেশ এক নির্বাচন করতে পারলেই সব সমস্যার ইতি ঘটানো হবে। ইউআইডিএআই অর্থাৎ আধার যারা করান, তাঁরা নিজেরাই বলেছেন আধার একটি সত্যতা যাচাইয়ের উপকরণ ছাড়া কিছু নয়, আধার কোনও পরিচয়পত্র নয়, আধার দিয়ে বাসস্থানের প্রমাণ করা বা জন্মতারিখের প্রমাণ করাও সম্ভব নয়, তাহলে সরকার এটা চাইছে কেন? চাইছে, কারণ ভারতবর্ষের নির্বাচকমণ্ডলীকে যদি শুধুমাত্র একটা সংখ্যায় পরিণত করে দেওয়া যায় এবং ভোটের দিন যদি সেই সংখ্যাকে ‘অফ’ করে দেওয়া যায়, তাহলে তিনি আর ভোট দিতে পারবেন না, আর আজকের সময়ে এটা বোঝা কি খুব দুষ্কর, যে কোন মানুষ সরকারের নীতির পক্ষে এবং কোন মানুষ নন? তাহলে এই স্বৈরাচারী সরকারকে কি কখনও পরাজিত করা সম্ভব হবে? এর থেকে কি ভালো হতো না ভারতের নির্বাচনে যে এফপিটিপি পদ্ধতিতে হয় তার বিপরীতে অন্য কোনও ব্যবস্থাকে আনার ? কি সেই পদ্ধতি? রিপ্রেসেন্টেটিভ পদ্ধতি বা চয়েস বেসড পদ্ধতি। এতে কিভাবে ভোট হয়? প্রত্যেকটি ভোটার তাঁর নিজস্ব পছন্দমতো প্রার্থীকে ১ থেকে ১০ অবধি ( যদি ১০ জন প্রার্থী থাকেন) নম্বর দেবেন পছন্দ অনুযায়ী। সেই প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ভোট গোণা হবে। যে প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোটের বেশী পাবেন তাঁকে জয়ী ঘোষণা করা হবে। যদিও এই পদ্ধতিতেই জার্মানিতে হিটলার ক্ষমতায় এসেছিলেন তাও ভারতের মতো দেশে যেখানে মাল্টি পার্টি বা অনেক দলের রাজনীতি চলে সেখানে এই পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করাটা কি বাঞ্ছনীয় নয়? যদিও এই ক্ষেত্রে ভোট গণনার কাজটা যথেষ্ট জটিল হয়ে যায়। কিন্তু ভারতের মতো বহুদলীয় সংসদীয় ব্যবস্থাকে আগে টিকিয়ে রাখার জন্য এটা কি উচিৎ ছিল না যে এফপিটিপির বদলে রিপ্রেসেন্টেটিভ পদ্ধতি চালু করার ? বা নির্বাচনী বন্ডের মতো একটি অস্বচ্ছ ব্যবস্থা বন্ধ করার মতো কোনও ঘোষণা করার?
এরপরে আরও একটি সংস্কার আসতে চলেছে যা আরও মারাত্মক। বলা হয়েছে যে সামনে যে রাজ্যগুলোতে বিধানসভা নির্বাচন আছে সেগুলোর ক্ষেত্রে বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা পোস্টাল ব্যলটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বলেছে সরকার ইচ্ছে করলে এটি সংসদে আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই বিষয়টার ভয়াবহতা সম্পর্কে যদি এখনই নাগরিকেরা সচেতন না হন, তাহলে কি হতে পারে ভারতের গণতন্ত্রের সেটা সহজেই অনুমেয়। প্রথমত, কাদের কাছে এই পোস্টাল ব্যলট দেওয়া হবে, তাঁদেরকে কি করে চিহ্নিত করা হবে? তাঁরা সেই ব্যালট পেয়ে স্বেচ্ছায় নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন কিনা, সেটা কি করে জানা সম্ভব? ওই বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের কাছে, কোনও প্রার্থী কিভাবে তাঁর প্রচার করবেন সেই প্রশ্নও উঠছে। যদি মনে করা যায়, তাহলে নিশ্চিত এটা অনেকের মনে থাকবে যে গত বাজেট অধিবেশনে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছিলেন যে এবার বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়েরাও আধার করতে পারবেন, তাহলে যে আধারকে ভাবা হয়েছিল, যার কোনও পরিচয়পত্র নেই, তাঁর পরিচয়পত্র, যে আধারের রায়ে সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে যে সরকারী সুবিধা ছাড়া আর কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না, সেই আধার দিয়ে এক দেশে একবার নির্বাচন করতে পারলে কার লাভ হবে? মানুষের, সংবিধানের না যিনি “নো ইয়োর কনস্টিটিউশন” বলে সংবিধানকেই উলঙ্ঘন করছেন তাঁর, এটা ভেবে দেখার কি সময় হয়নি?